স্পোর্টস ডেস্ক : তৌহিদ হৃদয়ের চোটে যেন ব্যাটিং শক্তি খর্ব হয়েছে। নাজমুল শান্ত ও জাকির হাসানদের এমন হতশ্রী ব্যাটিংয়েই সেই ছাপ। যেন সতীর্থের চোটের শোক গ্রাস করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স ব্যাটারদের। তবে উদ্বোধনীতে জ্বলে উঠেছিলেন মোহাম্মদ হারিস। আর শেষ বেলায় থিসারা পেরেরা। তাতে … উইকেটের জয়ে টানা পাঁচ জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফী বাহিনী।
ঢাকার ডমিনেটরসের দেওয়া ১২৯ রানের ছোটো লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল সিলেট। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ হারিস উদ্বোধনী জুটি গড়েন ৫২ রানের। পাকিস্তানি ব্যাটার হারিস যেন আজ নিজেকে ফিরে পেয়েছিলেন। তবে ঢাকা পর্বে দুরন্ত ফর্মে থাকা শান্ত যেন ফিরে গিয়েছিলেন হতাশা লগ্নের সেই বৃত্তে। ২০ বল খেলে আউট হয়েছেন ১২ রান করে। নাসির হোসাইনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে দুটি চার।
অন্যদিকে বিধ্বংসী হয়ে উঠা হারিসকেও ফেরান নাসির। ব্যাটে এডজ হয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিথুনের হাতে ধরা দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে পাঁচটি চারের পাশাপাশি আসে দুটি ছক্কা। তাতে ৩২ বলে করেন ৪৪ রান।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো সিলেট যেন চাপে পড়ে যায়। যা সামলাতে গিয়ে আউট হয়ে যান জাকির হাসান। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং তান্ডব চালানো জাকির আজ তিন বলে ১ রান করে ফিরে যান।
মুহূর্তের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা সিলেটের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। ২৫ বল খেলা এই ব্যাটার উপহার দেন একটি করে চার ও ছক্কা। ২৭ রানে পৌঁছাতে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে যান। তার আগে ইমাদ ওয়াসিমও রান আউট হন ২০ বলে ১১ রান করে।
শেষ বেলায় আকবর আলিকে নিয়ে থিসারা পেরেরা খেলেন ১১ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস। দুটি চারের সঙ্গে হাঁকান একটি ছক্কা। এছাড়া এক ছক্কায় আকবর ৫ বলে ১০ রান করেন। তাতে চার বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করা ঢাকা ডমিনেটরস ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান সংগ্রহ করেছিল। অধিনায়ক নাসির হোসেন ৩১ বলে ৩৯ রান করেন। সিলেটের হয়ে ইমাদ ওয়াসিম সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেছেন। তাতে জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
কিউএনবি/আয়শা/১৬ জানুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৬:০০