শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

অতিবাম-অতিডান আতিপাতি নেতা এক হয়েছে আমাদের নাকি উৎখাত করবে: প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৪৪ Time View

ডেস্ক নিউজ : বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিশ দল ভেঙে কয়েকটি জোট গঠন করেছে সরকারবিরোধী দলগুলো। তারা সরকার উৎখাতের হুঁশিয়ারি দিয়ে ১১ জানুয়ারি গণঅবস্থানের মাধ্যমে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১০ তারিখ (ডিসেম্বর) নিয়ে খুব একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ১০ তারিখ চলে গেল গোলাপবাগে। এরপর ১১ তারিখ (জানুয়ারি) থেকে তারা আন্দোলন করবে! তাদের সঙ্গে আবার জুটে গেছে অতিবাম, অতিডান। সব অতিরা এক জায়গায় হয়ে আতি-পাতি নেতা হয়ে তারা নাকি আমাদের ক্ষমতা থেকে একেবারে উৎখাত করবে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে তারা (বিএনপি) নাকি গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে। তাদের জন্মই তো গণতন্ত্র থেকে হয়নি। হয়েছে ক্ষমতা দখলকারী, সংবিধান লঙ্ঘনকারী মিলিটারি ডিকটেটরের পকেট থেকে। এরা তো ভাসমান। এদের বাংলাদেশের প্রতি কেন দরদ থাকবে? সেজন্যই অগ্নিসন্ত্রাস করে, মানুষ হত্যা করতে পারে। হাজার হাজার মানুষকে পুড়িয়ে তারা আনন্দ পায়। দেশকে খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে একবারই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল, মেয়াদ শেষ হলে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ২০০১ সালের জুলাই মাসে ক্ষমতা হস্তান্তর করি। এর আগে-পরে আর কখনো শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। খালেদা জিয়ার অধীনে দুইটা নির্বাচন হয়- ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আর ২০০৬ সালের ৬ জানুয়ারি নির্বাচন। দুটি নির্বাচনই তো বাতিল করতে বাধ্য হয়। কারণ জনগণের ভোট চুরি করার ফলে জনগণই তাদের বিতাড়িত করে। যারা বারবার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত-বিতারিত তারা গণতন্ত্রটা চর্চা করলো কবে? তাদের নিজেদেরই গণতন্ত্র নেই। তাদের দলের কোনো ঠিকানা নেই। একটা মাইক লাগিয়ে, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, তাদের কিছু ভাড়াটে লোক আছে, দেশ-বিদেশে বসে, সামাজিকমাধ্যমে সারাদিন আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাবে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আলী আরাফাত, তারানা হালিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ফারজানা ইসলাম, অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএ মান্নান কচি বক্তব্য দেন। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১০ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ৮:১৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

November 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit