বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বল্প মূল্যের টিসিবির পণ্য হাতে পেয়ে খুশি ক্রেতারা। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে জেলা শহরের কালভৈরব মন্দিরে নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভুর্তকি মূল্যের এই পণ্য বিক্রি করা হয়। বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সদর ইউএনও মো. ইয়ামিন হোসেন। এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মো. ফারুক-ই-আজম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ মাহফুজ, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর হোসনে আরা বাবুল উপস্হিত ছিলেন।প্রত্যেক কার্ডধারী দুই কেজি করে মশুর ডাল, দুই লিটার করে সয়াবিন তেল ও এক কেজি চিনি। মশুর ডাল ৭০ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল ১১০ টাকা লিটার ও চিনি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
কালভৈরব মন্দিরের সামনে টিসিবির পণ্য হাতে পেয়ে সুমা চক্রবর্তী বলেন, আমি বিধবা, স্বামী মারা গেছে অনেক আগে। স্কুলের আয়ার কাজ করা। বাজারে জিনিসপত্রের অনেক দাম, পরিবার নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। সরকার কিছু দিন পর পর এই টিসিবির পণ্য দেওয়াতে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। সরকার আমাদের কথা মনে রাখার জন্য কৃতজ্ঞ জানাচ্ছি।হাবিবা আক্তার, মিনা দাস জানান, বর্তমান বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অনেক বেশি।
এই ঊর্ধ্বগতি বাজারে স্বল্প মূল্যে তেল, চিনি ও ডাল পেয়ে তারা অনেক খুশি। তিনি আরো বলেন, সরকার সব সময় যেনো এই স্বল্প মূল্যে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস প্রদান করে, সরকারের কাছে এই দাবি জানায়।স্বপন মিয়া, লাইলী বেগম টিসিবির পণ্য হাতে পেয়ে জানান, বর্তমানে জিনিসের দাম অনেক বেশি। সরকার আমাদের কথা চিন্তা করে এই স্বল্প মূল্যে তেল, ডাল ও চিনি দিয়ে অনেকটায় উপকার হয়েছে। তারা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ইউএনও মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬’শত ১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে এ পণ্য বিক্রি করা হবে। আজ পৌরসভার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর, কালভৈরব মন্দির, কারখানাঘাট ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে চারটি স্হানে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এই স্বল্প আয়ের মানুষের টিসিবির পণ্য অনেকটায় সহযোগিতা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে পৌরসভার বাকী ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
কিউএনবি/অনিমা/২০ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:২০