ডেস্কনিউজঃ দিনের শুরুতেই ভারতকে বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। তবুও দিনশেষে আক্ষেপ হয়েছে সঙ্গী। বাজে ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিতে হচ্ছে দলকে। বারবার জীবন পেয়ে সংগ্রহটা গুছিয়ে নিয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা, প্রথম দিন শেষ হয়েছে ৬ উইকেটে ২৭৮ রান তুলে। ভারতকে ফিরে আসার সুযোগ দিয়ে আফসোসে পুড়ছেন ক্রিকেটাররাও।
বুধবার চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে ভারতের প্রথম ইনিংসে দলীয় ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারায় লোকেশ রাহুলের দল। ৭ রানের ব্যবধানেই অধিনায়ক নিজে ও শুবমান গিলের পর ভিরাট কোহলিও সাজঘরে ফেরেন। তবে এর পরই ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় ভাগ্য সহায় হয়ে দাঁড়ায় ভারতের। ব্যক্তিগত ১২ রানে পুজারা ও ৩০ রানে আইয়াররের ক্যাচ ছাড়েন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। ফের ৬৭ রানে আইয়ারের সহজ ক্যাচ ছাড়েন এবাদত হোসেন। ভাগ্য সহায়তার চূড়ান্ত রূপ তখনই দেখা যায়, যখন এবাদতের পেস বল স্ট্যাম্পে লেগেও বেল স্ট্যাম্পেই থেকে যায়।
এমন সব ঘটনার পর তাইজুলের কণ্ঠেও শোনা গেল আক্ষেপ। সমর্থকদের মতো তাইজুলও বিশ্বাস করেন, এমন কিছু না ঘটলে প্রথম দিনেই অলআউট হতো ভারত। সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল বললেন, তা সম্ভব ছিল বলতে পারেন। ১০-১৫ ওভার থাকতেই হয়তো পারতাম অলআউট করতে। শুরুতেই পাঁচ-ছয়টা উইকেট পড়ে যেত, যদি আমরা সুযোগগুলো নিতে পারতাম। অলআউট করা অসম্ভব ছিল না সেটা বলতে পারেন।
শেষ বিকেলে আরো একটা সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তবে এবার রিভিউ বিভ্রাটে বেঁচে যায় ভারত। তাইজুলের বল অক্ষর প্যাটেলের ব্যাট ও প্যাড হয়ে শর্ট লেগে জমা ক্যাচ জমা হলেও আবেদন করে সাড়া মেলেনি আম্পায়ারের। তবে উইকেটরক্ষক সোহানের সবুজ সংকেত দেননি বলে রিভিউ নেয়নি দল।
রিভিউ না নেয়া প্রসঙ্গে তাইজুল জানান, ‘যারা উইকেটকিপার বা সিলিতে থাকে, তারা তো কাছে থাকে। তাই না? এরা আসলে আওয়াজটা ভালোভাবে পায়, যে কোনটা ব্যাটে আর কোনটা প্যাডে লেগেছে। তাদের একটা মতামত নেয়া হয়। অনেক সময় বোলারেরও নেয়া হয়। কারণ বোলার সোজা থেকে ভিউটা ভালো বোঝে।’
কিউএনবি/বিপুল/১৪.১২.২০২২/ রাত ১০.৫৫