আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ সাড়ে নয় মাস ধরে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। এই অভিযানে ইতোমধে্য বেশ কয়েকটি অঞ্চল দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। বর্তমানে বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন অবকাঠামোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। তবে কোণঠাসা হলেও এখনও বিভিন্ন অঞ্চল পুনরুদ্ধারে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
এদিকে, রাশিয়া বলেছে, মিনস্ক চুক্তির ব্যর্থতা থেকে সৃষ্ট উদ্বেগের কারণেই ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সেদেশের রোসিয়া-১ টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস অঞ্চলের সংঘর্ষ বন্ধ করার লক্ষ্যে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে মিনস্ক-১ ও ২ চুক্তি সই হয়েছিল। রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে ওই দুই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
মিনস্ক-২ চুক্তিতে রাশিয়ার সঙ্গে যে প্রতারণা করার হয়েছে তা মস্কো উপলব্ধি করতে পেরেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, সময় অতিক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই চুক্তির অসারতা প্রমাণ হচ্ছিল। পশ্চিমা দেশগুলো সকল আলোচনা প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগ সংক্রান্ত কথাবার্তা উপেক্ষা করে যাচ্ছিল। এসব বিষয় ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান অবধারিত করে তোলে।
পেসকভ বলেন, পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-পন্থি অস্ত্রধারীদের সঙ্গে করা শান্তি চুক্তি মেনে চলতে কিয়েভ ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। এর আগে শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও মিনস্ক চুক্তি বাস্তবায়নে ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করেন।
চুক্তিটি সম্পর্কে তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল সম্প্রতি বলেন, রাশিয়ার মোকাবিলায় ইউক্রেনকে সামরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য মিনস্ক চুক্তি সই করা হয়েছিল। তার বক্তব্যে রাশিয়ার সঙ্গে ফ্রান্স ও জার্মানির প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। সূত্র: রয়টার্স
কিউএনবি/অনিমা/১২ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:১৫