আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ১০ নং শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া-বটতলা হতে ব্রাক বটতলা পর্যন্ত ভবানীপুর রাস্তায় যেন দখলের মহোৎসব চলছে। একের পর এক স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে রাস্থার দু পাশের জায়গা স্থায়ীভাগে দখল করছে অসাধু চক্র। দীর্ঘদিন ধরে চলছে এ দখলের মহোৎসব। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরুয়া বটতলা হতে ব্রাক বটতলা পর্যন্ত বাইপাস এ রাস্তার দুই পাশ দিয়ে প্রতিনিয়তই গড়ে উঠছে একের পর এক নতুন নতুন স্থাপনা। রাস্তায় বৈদ্যুতিক খুটি থাকলেও খুটিগুলো স্থাপনার ভিতরে নিয়ে রাস্তার জায়গা দখল করে স্থায়ীভাবে নির্মান করা হচ্ছে মিল চাতাল ও বাড়ী ঘড় দোকানপাট। যার ফলে সংকোচিত হয়ে আসছে যানবাহন চলাচলের রাস্তা ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।
এ ছাড়াও ওই সকল মিল মালিকরা রাস্তার জায়গা দখল করে এক থেকে দেড় ফুট উচু করায় বৃষ্টির পানি রাস্তার মধ্যে জমাট বেধে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। এবং রাস্তাটি দ্রুত নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হচ্ছে। এমনকি তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের পানিও রাস্তার উপর গড়ানোর ফলে শীতের মৌসুমে রাস্তা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কাদাপানির কারনে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে উপজেলার ভবানীপুর, বিশালপুর, শাহ-বন্দেগী ও মির্জাপুর ইউনিয়নের মানুষের অবাধ যাতায়াত হলেও দুধার দখলের ফলে জ্যাম লেগেই আছে। তাছাড়া মিলের গুড়োর ঘর রাস্তার উপর নির্মাণ করায় মিল চলাকালীন পালিশের গুড়ো বাতাসের সাথে মিশে পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। রাস্তা দিয়ে জনাসাধারণ চলাচলের একেবারে অনুযোগী হয়। বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুকি।
শেরপুর থানা চাল কল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আলিমুল রেজা হিটলার জানান, মহাসড়কে ফোরলেন কাজের ফলে বাইপাস এ রাস্তায় নতুন নতুন মিল চাতাল গড়ে উঠছে প্রতিনিয়তই। যার ফলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত এখনই সঠিক তদারকির মাধ্যমে রাস্তার জায়গার সিমানা ঠিক রেখে স্থায়ী স্থাপনা নির্মানে সকলকে বাধ্য করা তা না করলে ক্ষতির সম্মুখিন হবে সকলে। বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে ফেলতে পারে যে কোন সময়। মিল চাতাল গড়ে ওঠায় নিয়মিত যাতায়াত বাড়ছে ছোট বড় ট্রাক ও ভারি যানবাহনের। যার ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। গাড়ি লোড আনলোড করা হয় রাস্তার উপর রেখে।
এ ব্যাপারে ১০নং শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, রাস্তার দু পাশ দিয়ে যে সকল প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে তাদের সকলকে সরকারী জায়গার সিমানার বাইরে স্থায়ী স্থাপনা নির্মানের জন্য মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তারপরও যদি কেও সরকারী যায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মান করে তাহলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানার বলেন, সবেমাত্র এ উপজেলায় দায়িত্ব গ্রহন করেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০৬ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:০৮