মিজানুর রহমান মিন্টু,জয়পুরহাট প্রতিনিধি : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষ পুরো একটি হাঁস-মুরগি অনেক সময়ই ক্রয় করতে পারে না। বাংলাদেশের বাজারে একজন মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী অর্ধেক মুরগি বা ২০০-২৫০ গ্রাম মাংস বেচা-কেনার প্রচলন নেই। অপুষ্টির ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও প্রাণিজ আমিষের প্রাপ্যতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পিকেএসএফ বেসরকারি সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জয়পুরহাটের দুর্গাদহ গুচ্ছগ্রাম বাজারে ‘প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র’ স্থাপন করেছে। এ কেন্দ্র থেকে একজন ক্রেতা তার চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো পরিমাণ মাংস কিনতে পারছেন। তার এই কর্মকা-ের ফলে স্থানীয় দরিদ্র মানুষ তাদের ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী প্রাণিজ আমিষ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।
বুধবার পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি এ মাংসের দোকান পরির্দশন করেন। এছাড়াও জাকস ফাউন্ডেশন, জেআরডিএম ও এসো নামের তিন বেসরকারি সংস্থায় পিকেএসএফ এর অর্থায়নে জয়পুরহাটের দূর্গাদহ, আক্কেলপুরের রুকিন্দিপুর ও ক্ষেতলালের বাঘোপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গৃহিত আত্ম কর্মসূচিমূলক প্রকল্প রঙ্গিন মাছ চাষ, কিশোরী ক্লাব, জৈব বর্জ্য ব্যবহার ও হাঁস-মুরগি পালন এবং বিভিন্ন জাতের তরমুজ ক্ষেত, মাল্টা ও ড্রাগন বাগান তিন দিনব্যাপী পরিদর্শন করেন।
এসময় পিকেএসএফের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য পারভীন মাহমুদ এবং সিনিয়র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ, জাকস এর নির্বাহী পরিচালক নুরল আমিন দুদু, এসো নির্বাহী মতিনুর রহমান ও জেআরডিএম এর নির্বাহী রাজিয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।পরিদর্শন শেষে স্থানীয় এ বেসরকারী তিনটি প্রতিষ্ঠানে উদ্যোগগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করে ড. নমিতা হালদার বলেন, “মানব মর্যাদা রক্ষার জন্যই আমরা কাজ করি। কাউকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী যেন আমিষ ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা জোর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা এই কার্যক্রমটি অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে দেশজুড়ে সম্প্রসারণে কাজ করছি”।
কিউএনবি/অনিমা/২০ অক্টোবর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ২:১৪