ডেস্কনিউজঃ দেশে লোড শেডিং এখন জনসমস্যা। শহরে দিন-রাতে তিন থেকে চার ঘণ্টা লোড শেডিং থাকলেও গ্রামের অবস্থা আরো ভয়ানক। স্থানভেদে দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা বিদ্যুতহীন থাকতে হচ্ছে ভোক্তাদের। এর প্রভাব পড়ছে জনজীবনে।
তবে শীতের আগে লোড শেডিং থেকে মুক্তি দেখছেন না প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক এ ইলাহী চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের সমস্যা দূর হবে শীত আসলেই। তখন চাহিদাও কমে আসবে। ফলে এই মুহূর্তে ধর্য্য ধরা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ’
এ বছরের শেষের দিকে রামপালের কয়লা বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে আসবে। ভারতের আদানি বিদ্যুৎ আসবে আগমী বছরের শুরুর দিকে। রামপাল ও আদানির বিদ্যুৎ আরো আগেই আসার কথা ছিল। কিন্ত পিছিয়ে গেছে। এই দুটি কেন্দ্রের বিদ্যুৎ গ্রিডে চলে আসলে সমস্যা আর থাকবে না। লোড শেডিং থাকবে না বলেও জানিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা।
আজ রবিবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত ‘আকাঙ্ক্ষার গতি প্রেরণা: বাংলাদেশের উন্নয়ন গল্প’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে জ্বালানির ঘাটতির কথা স্বীকার করে তৌফিক এ ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘দেশে জ্বালানির ঘাটতি যদি না থাকতো, তাহলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হতো। জ্বালানির ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ উত্পাদনের সক্ষমতা কমে গেছে। এখন আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তাই আমরা অতিরিক্ত দামে বিদেশ থেকে জ্বালানি কিনতে পারছি না। এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা। ’
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ভোলায় আমাদের কিছু গ্যাস আছে। এই গ্যাস আমরা সিএনজিতে রূপান্তর করে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। আশা করা হচ্ছে দৈনিক ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ভোলা থেকে আনা যাবে। এ ছাড়া আমাদের যে কূপগুলো রয়েছে, সেখান থেকে আরো ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কাজ চলছে।
কিউএনবি/বিপুল/১৬.১০.২০২২/ রাত ১০.৪১