ডেস্ক নিউজ : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৬০ বছরের চলাচলের পথ হারিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন ৩০ পরিবারের ২০০ সদস্য। প্রভাবশালীরা চলাচলের রাস্তা কেটে পথ সরু করে জমি দখল করে নেওয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় বাড়িতেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তারা।
এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক সালিশ সমঝোতায় ব্যর্থ হয়ে এলাকার এমপির সুপারিশ নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শশীভূষণ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। চলাচলের পথ উদ্ধারে থানায় মামলা করে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী সালাউদ্দিন ও কামাল হোসেন ভুক্তভোগী পরিবারকে ঘায়েল করতে চরফ্যাশন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২৭ জুলাই ২০ জনকে আসামি করে ৭ ধারায় মামলা করেন।
এ ঘটনা কেন্দ্র করে গ্রামবাসী এবং ওই পরিবারের মধ্যে উত্তের্জনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার । স্থানীয়রা জানান, ওই প্রভাবশালী চক্র অতিগোপনে সেটেলমেন্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে ওই পরিবারের চলাচলের রাস্তার জমিকে খাসজমি দাবি করে তাদের নামে রেকর্ড করে নেন, যা জানতেন না তারা। রাস্তা কেটে ফেলায় চলাচল ও উপার্জনক্ষম সদস্যদের অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদে যাওয়ার পথেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিশু-শিক্ষার্থীসহ পরিবারের সদস্যদের।
অভিযুক্ত সালাউদ্দিন ও কামাল হোসেন তাদের নিজের জমি দাবি করে বলেন, এত বছর চলাচল করতে দিয়েছি, এখন আর দেব না। তাদের বৈধ কাগজপত্র থাকলে আমরা জমি ছেড়ে দেব। তারা আরও বলেন, আমাদের জমি দিয়ে হাঁটতে দিতে পারি কিন্তু গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হবে না। এ জন্যই রাস্তার বাকি অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন জানান, রাস্তার মাটি কেটে জমিতে একীভূত করায় গ্রামের লোকজন চলাচল করতে পারছে না। ফলে চরম দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। চেষ্টা করছি সমস্যা সমাধানের।
চরফ্যাশন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল মতিন খান জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা প্রতিকার চেয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান জানান, কারো ব্যক্তিগত জমি হলেও সেখানে চলাচলের রাস্তা হলে তা বন্ধ করার নিয়ম নেই। কেউ যদি চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের আলোকে উভয়পক্ষকে সমঝোতার জন্য ডাকা হয়েছে। বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
কিউএনবি/আয়শা/১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:৪০