রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে ফেরানোর চেষ্টা করছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৭৬ Time View

ডেস্ক নিউজ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে হামলা হলো, একের পর এক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, তখন আমরা কক্সবাজার এসেছিলাম। আমরা অনেকেই রোহিঙ্গাদের এদেশে আসতে দিতে চাইনি। ‘কিন্তু মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা বললেন- মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন আমাদের ওপর হামলা হয়েছিল, তখন আমরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। তাই রোহিঙ্গাদের এ দেশে আসতে দাও। এরপর বিজিবি সদস্যরা আমাদের সীমান্ত খুলে দিল। রোহিঙ্গারা আশ্রয় পেল আমাদের দেশে। কিন্তু তাদের নিয়ে এখন অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। বিশেষ করে কক্সবাজারের মানুষ। রোহিঙ্গাদের নিচ্ছে না মিয়ানমার। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছি।’

‘নবজাগরণ: অপরাধকে না বলুন’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজারের লংবিচ হোটেলের বলরুমে এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এলিট ফোর্স র‍্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের জায়গা ছোট, কিন্তু মানুষ অনেক বেশি। অথচ মিয়ানমার বড় রাষ্ট্র হয়েও তারা তাদের নাগরিকদের বিতাড়িত করছে। রোহিঙ্গার ঢল যখন নামল তখন অনেকেই বলেছিলেন আটকে দেই। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবিকে বললেন, তোমরা সীমান্ত থেকে সরে দাঁড়াও, ওরা আসুক ওদের আসতে দাও। তখন প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন- তোমাদের মনে নেই, কয়েক কোটি লোক, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলে জীবনটা হাতে নিয়ে। ঠিক সেই রকমই ওরা (রোহিঙ্গারা) পালিয়ে এখানে আসছে। ওদের তোমাদের মতো। ওদের জীবন রক্ষার সুযোগটা আমরা দিতে চাই।’

র‍্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আক্তার হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এবং স্থানীয় কয়েকজন সংসদ সদস্যসহ অনেকে। উল্লেখ্য, ‘অপরাধকে না বলুন’- স্লোগান ধারণ করে অপরাধ প্রতিরোধবিষয়ক সাম্প্রতিক স্ট্র্যাটেজির আওতায় নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করে র‌্যাব। নতুন এ কর্মসূচির আওতায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বা ঝুঁকিতে থাকা ৩৬ যুবক-তরুণীদের সাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহণ করে র‍্যাব। তাদের মধ্যে হোটের সার্ভিস বয় ৬ জন, সার্ফিং ৫ জন, ট্যুরিস্ট গাইড প্রশিক্ষণ ৫ জন, ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষণ ৫ জন, সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ ১০ জন, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ৫ জনকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:০৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit