ডেস্কনিউজঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এখন মিছিল মিটিং দেখা মাত্রই গুলি করা হচ্ছে। সামান্য একটা মিছিল মিটিং এর মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার গুলি করছে। সেই গুলির আঘাতে কারও চোখ নষ্ট আবার অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করছে। কারও কিডনি-ফুসফুস ফুটো হয়ে যাচ্ছে। সরকার কখনও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, নির্দলীয় নির্বাচনে বিশ্বাস করবে না। ওরা অন্যের ওপর ভর করে আবার ও ক্ষমতায় থাকতে চায়। অন্যের আশ্রয়ে, অন্যের সমর্থনে ক্ষমতায় থাকতে চায়। সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই প্রকাশ্যে বলেছেন এসব কথা। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথাকে মিথ্যা ভাবার কারণ নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভালো করেই জানেন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি জিততে পারবেন না। তাই বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদেরকে হত্যা করছেন। কারণ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অন্যকোন পদ্ধতি নিতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের এখন বাস্তবায়ন দেখছি।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) মহিলা দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে এক শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।পরে শোভাযাত্রা বের করা হলে পুলিশ আটকে দেয়।
রিজভী বলেন, ‘মানুষ প্রত্যাশা করেছিল ভারতের সাথে আলোচনা করে কমপক্ষে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে। পৃথিবীর কোন সীমান্ত এত রক্তাক্ত নয়, যত রক্তাক্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। সীমান্তে পাখির মত মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই বিষয়ে তো কখনও একটু প্রতিবাদ করেন না? যখন সীমান্ত নিয়ে কথা বলছেন তখন সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি আপনি আনতে পারবেন না। যখনই তিনি প্রতিবেশী রাষ্ট্রে যান বলেন খুব শিগগিরই চুক্তি হবে। এই নতজানু সরকার কখনোই চুক্তি করতে পারবে না’।
২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে বিএনপি জনবান্ধব কর্মসূচি পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি সারাদেশে কর্মসূচি পালন করছে। সরকার জনগণকে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলে দেয়ার যে ষড়যন্ত্র করেছে তার প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচি চলছে। এটা তো কোন ব্যক্তিগত কর্মসূচি ছিল না। কিন্তু এই কর্মসূচিও বানচাল করার জন্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তার দলীয় ছাত্রলীগ যুবলীগ সারাদেশ রক্তাক্ত করেছে। তিনজনকে হত্যা ও অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করেছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় পুলিশের বাধা:
বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। স্কাউট মার্কেটের সামনে রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ। নেত্রীরা শোভাযাত্রাটি সামনে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করলেও যেতে দেওয়া হয়নি। শোভাযাত্রাটি নাইট এঙ্গেলের মোড় ঘুরে বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কিউএনবি/বিপুল/ ০৯.০৯.২০২২/ রাত ৯.৫৩