বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এবার মাকে চিকিৎসা করাতে এসে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের হেনস্থার শিকার হলেন জেলার আখাউড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক দীপক ঘোষ। সিন্ডিকেটের কারণে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শও নেয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মা মারা যান। হাসপাতালে গিয়ে ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দীপক কুমার ঘোষের মা অসুস্থ হলে প্রথমে আখাউড়া ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আখাউড়া থেকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে জেলা সদরে আনার পরই অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের খপ্পড়ে পড়েন তিনি।
কথা হলে দীপক কুমার ঘোষ জানান, প্রথমে তিনি চেয়েছিলেন অ্যাম্বুলেন্সে রেখেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেন দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও নেওয়া যায়। এ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সটি জেলা সদর হাসপাতালের মূল ভবনের জরুরি বিভাগের সামনে রাখা দেখেই অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এখানে অ্যাম্বুলেন্স রাখা যাবে না উল্লেখ করে সরিয়ে নিতে বলেন। বাধ্য হয়ে তিনি মাকে ভেতরে নিয়ে যান। এরই মধ্যে আবার অ্যাম্বুলেন্স চালককে তাগাদা দেওয়া হয় গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্য। মৃত কিংবা জীবিত অবস্থায় যেখানেই নেওয়া হোক না কেন তাদের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এ প্রতিবেদক সেখানে গেলে বাধাদানকারিদের মধ্যে এক ব্যক্তি নিজেকে হাসপাতালের উল্টোদিকের সুপার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে কর্মরত বলে উল্লেখ করেন। এভাবে রোগীদের জিম্মি করা ঠিক হয়নি উল্লেখ করে এ প্রতিবেদকসহ হাসপাতালে কর্মরতরা ওই ব্যক্তিকে চলে যেতে বলেও যাননি। ওই ব্যক্তির নাম এনাম বলে পরবর্তীতে জানা যায়।
বাদল আহাম্মদ খান