রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন

শরীয়তপুরে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি ।
  • Update Time : বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০২২
  • ২৩৯ Time View

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ওয়াহিদ খান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ওয়াহিদ খান শরীয়তপুর সদর উপজেলার আবুড়া গ্রামের মৃত রমিজ খানের ছেলে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত ২ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে আছালদ্দিন খানের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ীতে ভাংচুর ও অর্ধশতাধিক ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় সংঘর্ষকারীরা।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের আবুড়া বড় ব্রিজ এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরিবেশ শান্ত রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ইদ্রিস খা ও মজিবুর খা নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পালং মডেল থানা পুলিশ। নিহতের পরিবার ও পালং মডেল থানা সূত্রে জানাগেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলমাছ খান ও সাবেক ইউপি সদস্য তমিজ খানের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

আলমাছ খান চিকন্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার খান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খানের সমর্থক। তমিজ খান একই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি বাচ্চু সরদারের সমর্থক বলে জানাগেছে। মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে তমিজ খানের ভাতিজা মোদাচ্ছের খানকে প্রতিপক্ষের লোকজন চিকন্দী বাজারে ধাওয়া করে। এর কিছুক্ষন পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র, রামদা, ছেনদা, টেঁটা নিয়ে ও ককটেল বোমা বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে।

এ সময় ওয়াহিদ খানসহ অন্তত ২০ জন মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়াহিদ খানকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে নিহতের ভাই মোদাচ্ছের খান বলেন, আক্তার খান ও ফরহাদ খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ককটেল বোমার বিষ্ফোর ঘটিয়ে আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়। আমার ছোট ভাই ওয়াহিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার ভাইর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ বিচার দাবী করছি।

আক্তারউজ্জামান খান, ফরহাদ খান আলমাছ খান ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আক্তার হোসেন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে ওয়াহিদ খান নামে ১ জন নিহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১০ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৫:১৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit