বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের গাংভাঙ্গা এলাকার মৃত ইদন মিয়ার মেয়ে দুই সন্তানের জননী মোছাঃ সোহাগী আক্তার। সোহাগীর বিরুদ্ধে প্রথম স্বামী কে তালাক দিয়ে নতুন করে সেই স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোহাগীর সাবেক স্বামী একই ইউনিয়নের গঙ্গানগর এলাকার মৃত মোঃ শাহ আলম মিয়ার ছেলে মোঃ ওবায়দুল মিয়া বলেন ২০০৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বরে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক গাংভাঙ্গা এলাকার মৃত ইদন মিয়ার মেয়ে মোছাঃ সোহাগী আক্তারের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে ভালো ভাবেই কেটেছে আমাদের সংসার।
আমাদের দাম্পত্যজীবনে রাহিম ও রাজিম নামের দুই পুুুত্র সন্তান রয়েছে। হঠাৎ আমার স্ত্রী সোহাগী এক সিএনজি চালকের পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে, আমি বিষয়টি বুঝতে পারি এবং তাদের সম্পর্কের সত্যতা পায়। আমার স্ত্রী সম্পর্ক করেই শেষ হইনি, এক পর্যায় আমার সন্তানদের রেখে পরকিয়া প্রেমিক সিএনজি চালকের হাত ধরে পালিয়ে যান আমার স্ত্রী। পালিয়ে গিয়ে আমার স্ত্রী নিজেই আমাকে নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে গত ১৫-০৯-২০১৯ তারিখে তালাক দিয়েছেন আমাকে। তালাকের পর আমার স্ত্রী তার কাবিন হিসেবে টাকা তার আত্মীয় স্ববজনদের মাধ্যমে বুঝে নিয়েছেন। আমার স্ত্রী যখন আমাকে তালাক দিয়ে তার পরকিয়া প্রেমিক নিয়ে সুখে ছিলো আমি তখন আমার অবুঝ দুই সন্তান নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছি হঠাৎ নতুন করে আমার সংসারে আশার জন্য নাকি আমার পরিবারের সম্মান নষ্ট করার জন্য নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে আমাকে হয়রানি করে যাচ্ছে সোহাগী ও তার পরিবারের লোকজন।
ওবায়দুল মিয়া আরো বলেন, আমার কাছে আমার স্ত্রীর নোটারী পাবলিক কর্তৃক দেওয়া তালাকনামাসহ সকল ডকুমেন্ট থাকার পরও তিনি নতুন নাটক শুরু করেছেন। সোহাগী ও তার পরিবারের মিথ্যা সাজানো ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন মোঃ ওবায়দুল মিয়া। এই বিষয়ে সোহাগী আক্তার বলেন আমার দুই সন্তান আছে আমি সংসার করতে চাই, তালাকের বিষয়ে জানতে চাইলে সোহাগী বলেন আমি তাকে তালাক দেয়নি, সেও আমাকে তালাক দেয়নি।নোটারী পাবলিকের কাগজ দেখালে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন।
কিউএনবি/আয়শা/০২ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:০৮