এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর) : যশোরের চৌগাছা উপজেলা সরকারি মডেল হাসপাতালের ১০০ শয্যার ভবণ নির্মাণ কাজে চরম অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিন্ম মানের আমা আদলা ইট দিয়ে সলিং, নিন্মমানের ইট দিয়ে গাথুনী,গাথুনীকৃত ওয়ালে পানি দিয়ে কিউরিং না করা, বিভিন্ন ধরনের ঢালাইয়ের কাজ সমাপ্তের পর হানিকমগুলো বোর না মারায় সেসব স্থানের রড, কাঠ ইত্যাদি বের হয়ে রয়েছে। নিন্মমানের আমা বেকা-তেড়া ইটদিয়ে অপরিচ্ছন্ন গাথুনীসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। একটি সূত্রে প্রকাশ, নিন্মমানের মালামাল ব্যবহার না করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ইউএনওর সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করেন।
৩০ জুন অনুষ্ঠিত চৌগাছা উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃংখলা সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন সিংহঝুলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মল্লিক। পরে সে বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর নেতৃত্বে সিংহঝুলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মল্লিক এবং ধুলিয়ানী ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মোমিনুর রহমানকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পান। তদন্ত কমিটি ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় তদন্তের রির্পোট উপস্থাপন করেন।
রোববার ৩১ জুলাই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের অসাধু প্রকৌশলীদের নিশ্চুপ থাকার সুযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এভাবে অনিয়ম করে যাচ্ছে। কাজের সাইডে থাকা স্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর যশোরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ইমরান এবিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে প্রকৌশলী ইমরান জানান, পানি দিয়ে কিউরিং এবং হানিকমে বোর না মারার বিষয়টি লজ্জাজনক। এছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারনে তারা দেড় নম্বর ইট দিয়ে কাজ করছেন বলেও তিনি স্বীকার করেন। পরবর্তীতে ভালো ইট দিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা লুৎফুন্নাহার লাকি বলেন, আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার ভালো মালামাল দিয়ে কাজ করার জন্য তাগাদা দিলেও তারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। বিষয়টি আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃংখলা কমিটিরসভায় সিংহঝুলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মল্লিক বিষয়টি উত্থাপন করেন। পরে এ বিষয়ে তিন সদস্যেরএকটি তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্ত কমিটি নিন্মমানের মালামাল দিয়ে কাজ করার সত্যতা পেয়েছেন। ওই ঠিকাদারকে ভালো মালামাল দিয়ে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা আনইশৃঙ্খলা কমিটির সভার রেজুলেশন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০১ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৫২