ডেস্কনিউজঃ যেমনটা ভালো খেলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, শুরুতে তেমনটি দেখাতে পারলো না তার দল। অন্তত প্রথম টি-২০-তে ফিল্ডিংয়ে বোলারদের দেখা গেল ছন্নছাড়া অবস্থায়। তাদের এলোমেলো বোলিংয়ে সফরকারী বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।
শনিবার হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশী বোলারদের এলোমেলো বোলিং এবং ফিল্ডারদের মিসফিল্ডিংয়ে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করেছে ৩ উইকেটে ২০৫ রান।
অধিনায়কত্বের অভিষেকে টসে হেরে যান সোহান। ফিল্ডিং পায় বাংলাদেশ। বোলিংয়ে নেমে টাইগার অধিনায়ক সোহান যেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। প্রথম পাঁচ ওভারে পাঁচজন বোলার দিয়ে বোলিং করান সোহান। যার মধ্যে একমাত্র মুস্তাফিজই সফল ছিলেন।
নিজের প্রথম ওভারে এসে জিম্বাবুইয়ান ওপেনার রেগিস চাকাভাকে ৮ রানে নাজমুল শান্তর ক্যাচে পরিণত করে ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ২৮ রান যোগ করেন ক্রেইগ আরভিন ও ওয়েসলি মাধবেরে।
পাওয়ারপ্লের পর প্রথম বলে আরভিনকে ২১ রানে বোল্ড করে ফেরান মোসাদ্দেক। উইকেট পাওয়া বলগুলো ছাড়া এদিন বোলিংয়ে যেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে থাকেন বাংলাদেশের বোলাররা। লাইন-লেন্থ সবকিছু গুলিয়ে জগাখিচুড়ি পাকাতে থাকেন তারা।
জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের রানের ফোয়ারা ছুটানোর জন্য তাদের চাহিদামতোই বোলিং করতে থাকেন তাসকিন, শরীফুল, নাসুম এমনকি মুস্তাফিজও। টাইগার বোলারদের এলোমেলো বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও বেশ দুর্বলতা দেখা যায়। এক চান্সে বল ধরতেই যেন তালগোল পাকিয়ে ফেলছিলেন ফিল্ডাররা।
টাইগার বোলার-ফিল্ডারদের এমন সহায়তা পেয়ে মারমুখী হয়ে খেলতে থাকেন জিম্বাবুইয়ানরা। চারে নেমে ১৯ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ রান করেন উইলিয়ামস। মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সিকান্দার রাজার সাথে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন মাধবেরে। যেখানে রাজা ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক। ২৩ বলে ফিফটি তুলে শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
তিনে নামা মাধবেরে ৪৬ বলে খেলেন ৯ চারে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ইকোনমিকাল বোলার ছিলেন আফিফ হোসেন। তবে ১ ওভারে ৬ রান দেওয়ার পর আর বোলিংই পাননি তিনি।
কিউএনবি/বিপুল/৩০.০৭.২০২২/সন্ধ্যা ৭.০১