ডেস্ক নিউজ : ফরিদপুর শহরে ৮ বছরের শিশুকন্যা ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি আমিরুল মৃধা (৩০) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হলে অমিরুল জবানবন্দি দেয়।
সোমবার রাতে শহরের পৌর বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে আমিরুলকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুন বেলা দেড়টার দিকে শহরের ঝিলটুলী মহল্লার একটি বাগানে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসী শিশুটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করেন। শিশুটি বর্তমানে তার বাড়িতে অবস্থান করছে।
এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে আমিরুলকে একমাত্র আসামি করে গত ২০ জুন ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।
ফরিদপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ মামলার আসামি আমিরুল মৃধার গ্রেফতারের খবর জানায় পুলিশ। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়- বাদীর মেয়ে (৮) শহরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাদীর স্বামী জীবিকার তাগিদে দুবাই থাকেন। বাদী তার বাসার পাশের একটি মেসে রান্নার কাজ করেন। ১৯ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমিরুল শিশুটিকে টাকার লোভ দেখিয়ে শহরের চর কমলাপুর এলাকার একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
আমিরুল মৃধা বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের খরসুতি এলাকার বাসিন্দা। সে শহরের দক্ষিণ কালীবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে কখনো রিকশা চালায়, কখনো বাসচালকের সহকারীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকালে এ ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি আমিরুল শিশুটিকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ফরিদপুরের সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী বলেন, শিশুটির মামলার যাবতীয় দায়িত্ব ও ব্যয়ভার বহন করবে ব্লাস্ট।
কিউএনবি/অনিমা/১২ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/রাত ১১:১৩