ডেস্ক নিউজ : শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ ও মনোযোগী করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শতবর্ষকে সামনে রেখে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল।
তিনি বলেন, লন্ডনের ক্রস রেপ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ একাডেমি অব সাইন্সের অধীন বাংলাজল নামে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। বাংলাজলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্রস রেপের মাধ্যমে ওই ১১টি জার্নালকে ডিজিটাল অবজেক্ট আইডেনটিফায়ারের আওতায় আমরা এনেছি। এর ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত জার্নালের প্রবন্ধগুলোর সাইটশন বাড়বে। আমরা ভবিষৎতে কোন কোন জার্নালের উন্নত ইনিডেসিং ও ইমফ্যাক্ট ফ্যাক্টর অর্জনের চেষ্টা করব। জার্নাল গুলোকে মানসম্মত করার জন্য এডিটোরিয়াল বোর্ড এবং রিভিউ প্রক্রিয়ার গুণগত পরিবর্তন আনা হয়েছে।
মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৬ টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের মধ্যে ৪৬ টিতে মাস্টার্স পর্যায়ে অতীতে ডেডিকেট গবেষণা ভিত্তিক থিথিস ছিল না। একাডেমিক কাউন্সিল থেকে আইন করে গতবছর থেকে আমরা মাস্টার্স পর্যায়ে প্রতি বিভাগ থেকে অন্তত ৩০% শিক্ষার্থীর গবেষণাভিত্তিক থিসিস করণ আমরা বাধ্যতামূলক করেছি। পৃথিবীর সব দেশের মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সময়-নির্ধারিত ফান্ডেড পিএইচডি এবং মাস্টার্স প্রোগ্রাম রয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি এবং মাস্টার্স প্রোগাম আছে বটে, কিন্তু মানসম্মত গবেষণার জন্য আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতার অভাব আছে। মানসম্মত সময়-নির্ধারিত পিএইচডি গবেষণার জন্য আমরা ফান্ডেড পিএইচডি চালু করতে যাচ্ছি। এই পিএইচডি গবেষণা থেকে ইমফ্যাক্ট ফ্যাক্টর সম্পন্ন জার্নালে প্রকাশনা করা বাধ্যতামূলক থাকবে। এ ভাবে গবেষণা ও প্রকাশনা বাড়ানোর জন্য নানাবিধ প্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি-ইউনিভার্সিটি এবং একাডেমিয়ার কোলাবোরেশন ও কোঅপারেশরেনর জোরদার করার জন্য কাজ আমরা শুরু করেছি। নভেম্বর মাসে আমরা প্রকাশনা-গবেষণা মেলা করতে যাচ্ছি, যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম। এই মেলায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত জার্নাল ও বই পুস্তক প্রদর্শিত হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যে সব গ্রাউন্ড ব্রেকিং পাবলিকেশন আছে, সেগুলো মেলায় দেখানো হবে। দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহকে মেলায় আমন্ত্রণ করা হবে। সর্বোপরি শতবর্ষী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা চিত্র আমরা তুলে ধরতে চাই, যাতে দেশ ও বিদেশের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গবেষণা ও এক্সচেঞ্জ কার্যক্রম বাড়ে। এভাবে র্যাংকিংয়ে ভালো করার ক্ষেত্রে আমাদের যেসব দুর্বলতা অতীতে ছিল সেগুলো কাটিয়ে উঠতে আমরা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। সম্প্রতি আমাদের নেওয়া উদ্যোগগুলোর ফলাফল নিকট ভবিষৎতে পাওয়া যাবে।
এমফিল ও পিএইডি গবেষকদের জন্য সম্মানি ভাতা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে মাকসুদ কামাল বলেন, একজন গবেষক আগে যদি ৩০ হাজার টাকা পেতেন এখন ৯০ হাজার টাকা পাবেন। অর্থাৎ পিএইচডি ও এমফিল গবেষকদের সুযোগ সুবিধা তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অনেক প্রতিভাবান শিক্ষার্থী আছেন। যারা শিক্ষকদের চেয়েও জ্ঞান বেশি রাখেন। আমরা ক্লাসে গেলে সেটি বুঝতে পারি। তাদের শিক্ষা ও গবেষণায় কাজে লাগাতে হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০১ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১:৫০