শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৮ অপরাহ্ন

পুঠিয়ায় বন্ধ হয়নি নিবন্ধনহীন ক্লিনিক -ডায়াগনস্টিক সেন্টার 

মোঃ আমজাদ হোসেন,রাজশাহী প্রতিনিধি
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২
  • ২১৯ Time View
মোঃ আমজাদ হোসেন,রাজশাহী প্রতিনিধি : সারা দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বেঁধে দেওয়া সেই সময় গত-(২৯ মে) শেষ হলেও বন্ধ হয়নি এসব ক্লিনিক, ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর  চিকিৎসা কার্যক্রম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি থাকলেও এর কোনটিই মানছেনা নিবন্ধনহীন রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার  ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো।গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে পুঁজি করে কোন রকম অনুমোদন ছাড়াই রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলা জুড়ে  ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে  ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো। দীর্ঘদিন ধরে মানহীন এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার নামে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অনেক রোগীর জীবনও চলে যাচ্ছে ভুল চিকিৎসার কারণে। পরে দালাল চক্রের মাধ্যমে রফাদফা করার এমন অভিযোগও রয়েছে অসংখ, এত কিছুর পরেও মনে হয় অদৃশ্য শক্তির ক্ষমতাবলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কর্মযজ্ঞ।

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আশেপাশে ও বানেশ্বর বাজারে এবং ঝলমলিয়া বাজারে গড়ে ওঠা দালালনির্ভর এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে এসে একদিকে যেমন সর্বস্বান্ত হচ্ছে নিরীহ সাধারণ মানুষ। অপরদিকে সরকারি হাসপাতালের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থাও কমে যাচ্ছে। তবে এসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর অধিকাংশেরই মালিক স্থানীয় প্রভাবশালীরা।অনুসন্ধানে জানা যায়,একশ্রেণির দালাল ও সরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে সিন্ডিকেট করেই এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। কোনো কোনো ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক  ডাক্তার-নার্স নেই। আবার গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকলেও অন্য ডাক্তার দিয়ে সিজার করানো অভিযোগও রয়েছে। এ কারণে তৃণমূলে ৫০ শতাংশ সিজার হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ। এসব ত্রুটিপূর্ণ সিজারের কারণে মা ও শিশু উভয়ের জীবন পরবর্তী সময়ে বিপন্ন হয়ে পড়ে।

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, পুঠিয়া উপজেলা জুড়ে সব মিলিয়ে ১১টি ক্লিনিকও ২০ ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশই নিবন্ধনহীন,এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃআব্দুল মতিন এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ  করা হলে, তিনি বলেন আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কতৃক যে নির্দেশনা পেয়েছি সেই নির্দেশনা মতাবেক পুঠিয়া উপজেলাধীন সকল ক্লিনিক- ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর কতৃপক্ষকে ১৫ দিনের মধ্যে তাদের কাগজপত্র সংশোধন করতে বলেছি তানা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তাদের জানানো হয়েছে,পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ কতৃক বেধে দেয়া নির্ধারিত সময় পার হলেও এখনো পর্যন্ত পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ কতৃক  কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা এবিষয়ে জান্তে চাইলে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মতিন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কতৃক পরবর্তীতে কোনো ধরনের নির্দেশনা আসলে পুঠিয়া উপজেলাধীন যেসকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক এখনও প বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেন জানান তিনি।

কিউএনবি/অনিমা/২৩.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১:২৬

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit