বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২০ পূর্বাহ্ন

তীব্র গরমেও যেভাবে সুস্থ থাকা যায়

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২
  • ১১৮ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : গরমকাল চলছে প্রকৃতিতে। একদিন বৃষ্টি না হলেই ভ্যাপসা গরম। ঘর থেকে বের হলেই ঘেমে অস্থির। ঘরে সিলিং ফ্যানের বাতাসও যথেষ্ট নয়। এমতাবস্থায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

গরমে সুস্থ থাকার উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বারডেমের ল্যাবরেটরি সার্ভিসেসের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী। 

গ্রীষ্মের গরমে ঘরের বাইরে রোদে ব্যায়াম করে শরীর ক্লান্ত তো হয়, ঘেমে নেয়ে উঠেন অনেকে। সাঁতার কাটা, সাইকেল চালান, দৌঁড়ান, হাঁটা যাই হোক না কেন। আর কড়ারোদে বেশ কিছু সময় ব্যায়াম করলে বিপদ হতে পারে যখন-তখন।

ব্যায়ামের আগে শরীর যেন জলপূর্ণ থাকে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবেন।

শ্বাস ছাড়ছেন, ঘামছেন, প্রস্রাব করছেন, জল তো বেরুচ্ছেই শরীর থেকে। জলের অভাবে শরীরে হবে পানিশূন্য। প্রতিদিন তাই জল পরিপূর্ণ চাই, শরীরের কাজকর্ম যাতে ঠিকমতো চলে সেজন্য যথেষ্ট পানি পান করা চাই, জলীয় খাবার খাওয়া চাই।

কী পরিমাণ পানি চাই শরীরে

প্রতিদিন ১৬ কাপ পানি পুরুষের জন্য আর নারীদের জন্য ১১ কাপ, পরামর্শ ‘ইন্সটিটিউট অব মেডিসিন, ন্যাশনাল একাডেমি, আমেরিকা।

আমাদের প্রতিদিন খাদ্যে জলীয় অংশ থাকলেও বেশির ভাগ তরল আসা উচিত পানীয় জল থেকে। শরীরের যা ওজন, এর অর্ধেক পরিমাণ, আউন্স পরিমাপে যা হয়, তা পানকরা উচিত, যেমন ওজন ১৬০ পাউন্ড হলে অন্তত ৮০ আউন্স পানি পান করা উচিত (আট আউন্স) গ্লাসের দশগ্লাস পানি। গড়পরতা হিসেবে মানুষ নিজের তরল চাহিদা প্রতিদিন মেটায় না।

যদি প্রস্রাবের রং পরিষ্কার বা খড়ের রং হয় তাহলে বুঝবেন যথেষ্ট পানি পান করা হচ্ছে। প্রস্রাব গাঢ় রঙের হলে বুঝবেন পানিশূন্যতা হয়েছে। পিপাসা পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ঠিক না। 

পানি শূন্যতার অন্যান্য লক্ষণ হল বমিভাব, মাথা হালকা লাগা। দিনভর ঠিকমতো পানি পান করছেন তা নিশ্চিত করার জন্য যেখানেই যাবেন, সঙ্গে যেন থাকে পানিভর্তি বোতল। 

গাড়িতে রাখুন, কর্মস্থলেও রাখুন। সঙ্গে বহনও করুন, হাঁটলেও। একসঙ্গে সব পানি পান করবেন এজন্য অপেক্ষার দরকার নেই। পানি পান করে পেট ভরাট একসঙ্গে করার দরকার কি, পেট ভারি ভারি লাগবে।

পানি ছাড়া অন্যান্য পানীয় সম্বন্ধে কথা

ব্যায়ামের সময় যে পানি হানি হয়, শুধু পানি পান করেই তা পূরণ করা সম্ভব। তবে যারা ৬০ মিনিটের বেশি, বিশেষ করে গরমকালে ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য হাইড্রেশন ড্রিংক (যাতে থাকে পানি, সোডিয়াম-পটাশিয়াম ইলেকট্রোলাইট) (যা ঘামের সঙ্গে ক্ষয় হয়) গ্রহণ যথাযথ। 

কিছু কিছু এথলেট ব্যায়ামে বা শরীরচর্চায় যে শক্তি ক্ষয় হয় পরিপূরণের জন্য ও পেশিতে তা পুনঃস্থাপনের জন্য জুস বা দুধ পান করে থাকেন। শরীরে পানিশূন্যতা হলে পায়ে খিচুনি হতে পারে, খিল ধরতে পারে, ক্লান্তি অবসাদ হতে পারে। পর্যাপ্ত পানির অভাবে, শরীর ঘেমে শীতল হতে পারে না। এর ফলে তাপাহত হওয়ার আশংকা বেড়ে যায়।

গরমে বাইরে যাওয়ার আগে একটু ভাবুন

সকালে যদি ব্যায়াম করতে পারেন (সকাল ১০টার আগে) বা (দিনের শেষে বিকাল ৪টার পর) তাহলে কড়ারোদ এড়ানো যাবে। শীতল ছায়া যেসব পথে আছে সেখান দিয়ে হাঁটুন। মধ্যহ্নে যদি শরীরচর্চা করতে হয় কখনও তাহলে হালকা বর্ষা বেছে নিন, (সাঁতার কাটা বা জল ক্রীড়া) যেদিন খুব বেশি তাপ, সেদিন ব্যায়াম অন্দরে করাই ভালো

অন্দরে শরীরচর্চা

বাইরে উত্তাপ খুব বেশি হলে, তাহলে ঘরের বাইরে বিকল্প অনেক অন্দর-ব্যায়াম আছে। জিমে না যেতে চাইলে, ঘরে বসে সাইক্লিং, জগিং, দড়ি লাফ, ভারউত্তোলন, উঠবস, ডানবৈঠক, ইয়োগা চলতে পারে

কিউএনবি/অনিমা/১৩.০৬.২০২২/ রাত ১১.৫৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit