স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : যশোরের মনিরামপুরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাকুরিয়া প্রতাপকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত গণিত শিক্ষক প্রদীপ কুমার পাইনের বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আটক শিক্ষককে র্যাব রোববার রাতে মনিরামপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পুলিশ সোমবার সকালে তাকে আদালতে চালান দেয়। অভিযোগ রয়েছে কোচিং সেন্টারে ক্লাশ শেষে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শিক্ষক প্রদীপ কুমার পাইন যৌন হয়রানি করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রীর পিতা শিক্ষক প্রদীপ কুমার পাইনের বিরুদ্ধে ঢাকুরিয়া-প্রতাপকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে প্রদীপ কুমার পাইনকে শোকজ করে বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সহকারি প্রধান শিক্ষক রমজান আলীর নেতৃত্বে টিমের অন্য সদস্যরা তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাবলু সিংহ জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর গত বৃহস্পতিবার প্রদীপ কুমার পাইনকে চাকুরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। প্রতিবাদে গত শনিবার শতাধিক এসএসসি পরিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ে প্রস্তুতিমূলক পরিক্ষায় অংশ না নিয়ে স্কুলের মাঠে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে পরিক্ষার্থীরা স্কুলের দ্বিতীয় তলায় পরিক্ষা কেন্দ্রের দরজা-জানালা ভাংচুর করে। অভিযোগ রয়েছে নিজেকে রক্ষা করতে শিক্ষক প্রদীপ কুমার পাইন উপস্থিত থেকে প্রাইভেট পড়ানো পরিক্ষার্থীকে উষ্কে দিয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটান। খবর পেয়ে সকাল ১১ টার দিকে র্যাব সদস্যরা স্কুল থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষক প্রদীপ কুমার পাইনকে আটক করে। অভিযোগ রয়েছে ইতিপূর্বে শিক্ষক প্রদীপ কুমার পাইন কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সর্বনাশ করেন।
কিন্তু এলাকায় আধিপত্য খাটিয়ে তিনি নিজেকে রক্ষা করেন।মনিরামপুর থানার ওসি(তদন্ত) গাজী মাহাবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় প্রদীপের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে রোববার একটি মামলা করেন। রাতে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে থানায় হস্তান্তর করেন। সোমবার সকালে তাকে পুলিশ আদালতে চালান দেয়।
কিউএনবি/আয়শা/২৩.০৫.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:২০