সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৮ অপরাহ্ন

পি কে হালদারের সব শেয়ার জব্দের নির্দেশ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২০ মে, ২০২২
  • ১০৭ Time View

ডেস্কনিউজঃ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করা প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) নামে থাকা সব কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজ বা জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) এই নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার আসামি পি কে হালদারের শেয়ার ফ্রিজ করার বিষয়ে আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এ নির্দেশ দিয়েছে।

বিএসইসির দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এবং দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ করা মামলায় আদালত গত ১৩ এপ্রিল পি কে হালদারের অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করার আদেশ দেন। সে অনুযায়ী পি কে হালদারের অস্থাবর সম্পদ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করার জন্য সিডিবিএলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ১৫ মে ভারতীয় অর্থসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কর্মকর্তারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে পি কে হালদারসহ তার সহযোগীদের আটক করে।ভারতের এ রাজ্যের বর্ধমানের কাটোয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পি কে হালদার, উত্তম মিত্র, প্রীতিশ হালদার ও প্রীতিশ হালদারের স্ত্রী ও জামাতা সঞ্জীব হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পি কে হালদারকে দুই দফায় মোট ১৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।ইডি আইনজীবীরা আদালতকে বলেছেন, পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদে বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে ইডি ভারতে তার ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে।

ইডি বলেছে, ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধার সহায়তায় পি কে হালদার পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের একাধিক রাজ্যে বিপুল সম্পদ পাচার করেছেন। ভারতে একাধিক অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে খোঁজ পেয়েছে ইডি।

এ তদন্ত সংস্থা বলছে, তারা ইতিমধ্যে পি কে হালদারের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছেন। এসব নথিতে প্রাথমিকভাবে ভারতে তার ২০ থেকে ২৫টির মতো বাড়ির মালিকানার তথ্য মিলেছে।

এর আগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পলাতক পি কে হালদার তার নামে অবৈধ উপায়ে এবং ভুয়া কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।

অবৈধ সম্পদের অবস্থান গোপন করতে ১৭৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন পি কে হালদার। তিনি এসব অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা জমা রাখেন। পাশাপাশি এসব অ্যাকাউন্ট থেকে তার নামে ও বেনামে আরও ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। দুদকের তথ্য বলছে, পি কে হালদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

কিউএনবি/বিপুল/২০.০৫.২০২২ খ্রিস্টাব্দ /সন্ধ্যা ৬.৪৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit