বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন

এর নাম কেন হট ডগ?

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৬ মে, ২০২২
  • ১৪৪ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : নাম শুনেই অনেকে খাবারটি চিনে গেছেন। পাউরুটির ভেতরে সসেজ ভরা, এর নাম হট ডগ।

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মেয়োনিজ এবং চিজ। সব কিছুর মিশ্রণে অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার হট ডগ।

যারা হট ডগ খেয়েছেন বা এর কথা শুনেছেন তাদের প্রত্যেকের মনে অন্তত একবার হলেও এই খাবারের নাম নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে।
একে হট ডগ বলা হয় কেন? এতে কি কুকুরের মাংস থাকে?

হট ডগের সসেজ তৈরিতে কাজে লাগানো হয় গরু, মুরগি কিংবা শূকরের মাংস। হট ডগের প্রতি কামড়ে কিন্তু তন্ন তন্ন করে খুঁজলেও কুকুরের মাংস পাবেন না।

এই হট ডগ জার্মানির খাবার। শরণার্থীদের সঙ্গে ইউরোপ থেকে আমেরিকায় প্রবেশ করে এটি। এক সময় আমেরিকার জনপ্রিয় রাস্তার খাবারে পরিণত হয়েছিল হট ডগ।

সে সময় মূলত কারখানার শ্রমিক, দিনমজুরদের কাছে জনপ্রিয় ছিল এ খাবার। রাস্তার ধারে চাকা লাগানো ছোট ঠেলাগাড়িতে করে বিক্রি করা হতো এগুলো। বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পুরো আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়েছিল এই খাবার। আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় হট ডগের প্রস্তুত প্রণালীও কিছু কিছু বদলে গিয়েছিল সেই এলাকার মানুষের স্বাদের রকমফেরে।

বিশ শতকে জার্মানিতে কুকুরের মাংস খাওয়ার চল ছিল। সেই অর্থেই অনেকেই মনে করতেন এ খাবার জার্মানির সসেজ কুকুরের মাংস দিয়ে তৈরি হতো।

তাই সেখানে সসেজের আর এক নাম হয়ে গিয়েছিল ‘ডগ’। ১৮০০ সাল থেকেই সসেজ-এর এই নাম প্রচলন হয়ে গিয়েছিল জার্মানিতে। কিন্তু তখনও সসেজ ভরা পাউরুটিকে হট ডগ বলা হত না। এর নাম ছিল ডাচশান্ড সসেজ।

আমেরিকার এক সংবাদপত্রের কার্টুনিস্ট ডাচশান্ড সসেজকে ‘হট ডগ’ বলে উল্লেখ করে একটি কার্টুন এঁকেছিলেন। সেই কার্টুন এতটাই জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিল যে তারপর থেকে এ সসেজ ভরা পাউরুটির নাম হয়ে যায় হট ডগ।

আসলে নিউইয়র্কের পোলো গ্রাউন্ডের বাইরে ঠেলাগাড়ি করে ডাচশান্ড সসেজ বিক্রি করছিলেন এক জার্মান ব্যবসায়ী। ওই ঠেলাগাড়িতেই গরম গরম বানিয়ে বিক্রি করছিলেন তিনি। আর চিৎকার করে ডাচশান্ড সসেজ খাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছিলেন দর্শকদের।

সংবাদপত্রের কার্টুনিস্ট থমাস আলয়সিয়াস দর্গানও কিছুদূর দাঁড়িয়ে বিষয়টি দেখছিলেন। নিউইয়র্কের পোলো গ্রাউন্ডে তখন বেসবল খেলা চলছিল। তিনি সে দিনের পরিস্থিতি একটি কার্টুনের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেন সংবাদপত্রে।

কিন্তু বিক্রেতা ঠিক কী নামে খাবারটির পরিচয় দিচ্ছিলেন তা তিনি বুঝতে পারেননি। তিনি বুঝেছিলেন ওটা আসলে সসেজ এবং গরম গরম সেটি পরিবেশন করা হচ্ছে।

জার্মানিতে এক সময় যেহেতু সসেজের অন্য নাম ছিল ‘ডগ’ এবং এটি গরম গরম পরিবেশন করা হতো, তাই কার্টুনে এই খাবারকে তিনি ‘হট ডগ’ বলে উল্লেখ করেন। এর পর থেকে এর নাম হয়ে যায় ‘হট ডগ’।

কিউএনবি/অনিমা/৫ই মে, ২০২২/২২ বৈশাখ, ১৪২৯/রাত ১১:৫৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit