স্পোর্টস ডেস্ক : জয়ের প্রত্যাশা…
আশা তো অবশ্যই জেতার। আমি সব সময় বলি, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট এমন একটি ফরম্যাট, যেকোনো দিন যেকোনো দল জিততে পারে। আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। ফোকাস কালকের (আজ) ম্যাচে।
শুরুটা নিয়েই ভাবছি।
র্যাংকিংয়ের প্রভাব…
এই ফরম্যাটে আপনি এক নম্বর দলের বিপক্ষে খেলুন আর ১০-১২ নম্বরের বিপক্ষে, একটি জুটিই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। ওয়ানডে এবং টেস্টে ফিরে আসার সময় পাওয়া যায়। টি-টোয়েন্টিতে সেই সুযোগ নেই। যা করার দ্রুত করতে হবে।
মুনিম শাহরিয়ার প্রসঙ্গে…
মুনিমের ভালো সুযোগ (খেলার) আছে কালকে। এখন নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না, উইকেটটা আজ দেখলাম। ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরিকল্পনা করব। আর শুধু টপ অর্ডার নিয়ে পরিকল্পনা করলেই হবে না, পুরো ব্যাটিং ইউনিটকে ভালো করতে হবে। টপ অর্ডার কখনো ভালো না করলে মিডল অর্ডারকে হাল ধরতে হবে। আবার শুরু ভালো হলে মাঝের ব্যাটারদের সেটা ধরে রাখতে হবে। আসলে এই ফরম্যাটে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা কঠিন। তবে দল হিসেবে খেলতে পারলে আমাদের ভালো সুযোগ আছে।
ফিল্ডিং…
অবশ্যই চেষ্টা করব ফিল্ডিং যেন ভালো হয়। হয়তো ওরকম ভালো ফিল্ডিং করতে পারিনি। চেষ্টা করব ফিল্ডিংয়ের মাধ্যমে দলে অবদান রাখতে।
সম্ভাব্য একাদশ…
এটা ঘোষণা করার বিষয়টা আমার হাতে নেই। এটা সম্পূর্ণ বোর্ড বা ম্যানেজমেন্টের ওপর নির্ভর করে। অধিনায়ক হিসেবে আমার যতটুকু কাজ, সেটা সত্ভাবে করার চেষ্টা করব। বিশ্বকাপ এখনো অনেক দূরে, পাঁচ-ছয় মাস বাকি আছে। সামনে সেসব ম্যাচের বিল্ড আপ কেমন হয়, সেটার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে মানসিকতা যেন সব সময় একই রকম থাকে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।
পাওয়ার প্লের ব্যর্থতা…
ইনশাআল্লাহ, আশা করি বের হতে পারব। আমাদের যে দল, পাওয়ার প্লেতে ৪০-৪৫ রান তোলার জন্য যথেষ্ট ভালো। প্রতিদিন হয়তো এমন আকাশচুম্বী শুরু আপনি পাবেন না। তবে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে অন্তত লড়াকু স্কোর যেমন—১৫০-১৬০ নিয়মিত করতে হবে। তাহলে ম্যাচ জেতার সুযোগ থাকবে। আমরা চেষ্টা করছি, কথাবার্তা বলছি। ইনশাআল্লাহ উপায় খুঁজে পাব।
তামিম ইকবাল ও নাঈম শেখ…
তামিম বিপিএলের দারুণ মৌসুম কাটিয়েছে। সম্ভবত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিল। খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছে। ওর সিদ্ধান্তটা (টি-টোয়েন্টি থেকে ছুটি) ব্যক্তিগত। আমাদের উচিত ওর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো। (নাঈম) গত বছর আমাদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিল। বিপিএলে হয়তো সেভাবে ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। তবে আমার মনে হয় সে অনেক ভালো খেলোয়াড়, কামব্যাক করবে।
ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ প্রসঙ্গে…
আক্রমণাত্মক মানে ইনটেন্ট নিয়ে ব্যাটিং করা। অনেক সময় হয়তো কন্ডিশন বিবেচনা করতে হবে অথবা পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আপনি যদি ইনটেন্ট নিয়ে ব্যাটিং না করেন, তাহলে আপনি নিজেই খোলসবন্দি হয়ে যাবেন। একবার খোলসে ঢুকে গেলে বের হওয়া অনেক কঠিন। যেখানেই ব্যাটিং করুক, ইনটেন্ট নিয়ে ব্যাটিং করা, নিজের শক্তি বুঝে ব্যাটিং করা জরুরি।
কিউএনবি/আয়শা/৩রা মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ২:২৭