ডেস্কনিউজঃ ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মধ্যে ইউরোপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রতি ১ হাজার ঘনমিটারে ২ হাজার ২০০ ডলারের ওপরে উঠেছে। ২০২১ সালে ২৩ ডিসেম্বরের পর এটিই সর্বোচ্চ দর। সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম তাস জানিয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংকটের কারণে গ্যাস সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় দাম দ্রুত বাড়ছে। ২০১৪ সালের জুনের পর প্রায় ৮ বছরে প্রথমবারের মতো ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ১১৩ ডলারে পৌঁছেছে।
আবার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার ( ২ মার্চ) প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশ। শুক্রবারের তুলনায় এই দাম দ্বিগুণ। বুধবার (২ মার্চ) পর্যন্ত প্রতি মেগাওয়াট ঘণ্টার দাম ছিল ১৯৪ ইউরো (২১৫ ডলার)।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়ার পরও বিশ্ববাজারে দাম বাড়ছেই। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও ৩০টি দেশের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি অ্যাজেন্সি তাদের জরুরি মজুত থেকে ৬০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ছেড়েছে। কিন্তু এরপরও দাম বেড়েই চলেছে।
রাইস্ট্যাড এনার্জির সিনিয়র বিশ্লেষক কৌশল রমেশ রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম তাসকে বলেছেন, মিনিটে মিনিটে গ্যাসের দাম বাড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের মধ্যে সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে।
ইন্ডিপেনডেন্ট কমোডিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসেসের বাজার বিশ্লেষক অ্যালেক্স ফ্রোলির মতে, ইউরোপে রাশিয়ান গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত আছে। তবে পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ার বিষয়ে অনেক অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ আছে। পার্সটুডে।
কিএনবি/বিপুল/২রা মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ |রাত ১০:০৭