
ডেস্ক নিউজ : বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নতুন নির্বাচন কমিশন বিদ্যমান গভীর রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করবে না; বরং প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারি দলের পছন্দসই নির্বাচন কমিশন গঠনের ঘোষণা অবিশ্বাস, অনাস্থা ও রাজনৈতিক সংকট আরো বাড়িয়ে দেবে। তাই ভোটের অধিকার নিশ্চিতের জন্য সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সভায় বক্তৃতা করেন বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, আবদুল্লাহ কাফি রতন, মানস নন্দি, মোশাররফ হোসেন নান্নু, মোশরেফা মিশু, ইকবাল কবির জাহিদ, বাচ্চু ভূঁইয়া, আবদুল আলী, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, আকবর খান, শহীদুল ইসলাম সবুজ, মাসুদ রানা, বিধান দাস, রুবেল সিকদার প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার যে হুদা কমিশন ও রকিব কমিশনের মতো আরেকটি সরকার অনুগত নির্বাচন কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে তা অত্যন্ত স্পষ্ট। তাই বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে মতৈক্য ছাড়া গঠিত এই নির্বাচন কমিশন জনগণ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের আস্থা অর্জন করবে না। সরকার অনুগত এই কমিশনকে আইনি পোশাক পরানো হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার ও নির্বাচনী ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার ছাড়া ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো অবকাশ নেই। আন্দোলনের পথে ভোটের অধিকার হরণকারী সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন বেগবান করার আহ্বান জানান তারা। সভায় ভাষাশহীদ দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
কিউএনবি/আয়শা/২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৫৪