বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
১১১ কোটি টাকার বাংলো কাকে উপহার দিলেন কোহলি? কুড়িগ্রামে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত আরও ৩০ ফিলিস্তিনির নিথর দেহ ফেরত দিল ইসরায়েল দুর্দশায় কুড়িগ্রামের শিক্ষা: ৯ কলেজে কেউই পাস করেনি পশ্চিমা আগ্রাসন ঠেকাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঐক্যের ডাক ইরানের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নওগাঁয় বৃক্ষরোপণ  রেকর্ড গড়েও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পার্বত্য ভূমি কমিশনের বৈঠক স্থগিতের ঘোষণা তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবিতে উত্তাল উত্তরাঞ্চল: পাঁচ জেলায় মশাল প্রজ্জ্বলন, রংপুর অচল করার হুঁশিয়ারি উপদেষ্টাদের কল রেকর্ড কোনো ব্যক্তি বা দলের নিকট থাকা ‘বেআইনি-ব্লাকমেইলিং’

ডোমারে বনবিভাগের সেচ্ছাচারিতায় নিজের জমিচাষ করতে পারছেনা দরিদ্র কৃষক,আদালতের দ্বারস্থ

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৪৪ Time View

 

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডোমারে বনবিভাগের এক বিট কর্মকর্তার সেচ্ছাচারিতায় এক হতদরিদ্র কৃষক তার জমি চাষ করতে পারছেনা। নানা দপ্তরে ধরনা দিয়ে প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ভূক্তভোগী। সরেজমিনে ও মামলার সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মৃত আজিজার রহমানের ছেলে এমদাদুল হক ৭৭২ নং খতিয়ানের বি,এস ৩৪০৩ খতিয়ানের এসএ ১২০১৪/৫১০ বি,এস ৯৭১ দাগে ৩৩ শতাংশ জমি মৃত বিনোদ চন্দ্র রায়ের ওয়ারিশ স্ত্রী ও কন্যার নিকট তাদের ভোগদখল থাকা অবস্থায় ক্রয় করে। পরবর্তিতে ওই জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে বিট কর্মকর্তা রেজাউল করিম উক্ত জমি বনবিভাগের মিথ্যা দাবী করে ভূক্তভোগীর নিকট অন্যায় সুবিধা হাচিলের চেষ্টা করে।

ভূক্তভোগী বিট কর্মকর্তার অন্যায় আবদারে পাত্তা না দেয়ায় তিনি নানা সময় দলবদ্ধ হয়ে চাষাবাদে বাধা সৃষ্টি করেন। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ৩১শে ডিসেম্বর শুক্রবার দুপরে এমদাদুল হক তার জমিতে চাষ করতে গেলে বিট কর্মকর্তা রেজাউল করিম অবৈধ জনতায় দলবদ্ধ হয়ে জমি চাষে বাধা দেয় এবং চাষাবাদে ব্যাহৃত উপকরণ সহ জমিতে লাগানো বেড়া খুলে নিয়ে যায়। এবিষয়ে ভূক্তভোগী এমদাদুল হক প্রতিবেদককে বলেন, বিট কর্মকর্তা রেজাউল কখনো নিজে আবার কখনো লোক মারফত আমার নিকট ৫০হাজার টাকা দাবী করে। আমি তার অন্যায় দাবী প্রত্যাখান করলে সে পুলিশকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে আমার বৈধ জমিতে চাষাবাদে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। আমি নানা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।

একাধিক ভূক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে জানান, বন বিভাগের বন রক্ষক থেকে শুরু করে কর্মকর্তারা বনের জমি বহিরাগতদের অবৈধ ইজারা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে, তিনি ৭দিনের মধ্যে এসকল অবৈধ দখলদারের তালিকা তার দপ্তরে জমা দিতে বলেন। কয়েক মাস পার হলেও সে তালিকা আজও জমা হয়নি। অথচ আমাদের জমি প্রাইভেট ফরেষ্টের তালিকায় থাকলেও নিজের জমিতে চাষ করতে পারছি না। আমাদের জমি মানুষ চাষাবাদ করছে আমরা দেখছি। বনবিভাগের এটা চরম অন্যায় ও সেচ্ছচারিতা। এবিষয়ে বিট কর্মকর্তা রেজাউল করিম তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা বনের জমিতে অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করেছি মাত্র।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৫ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:৩৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit