শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
স্বামীর মৃত্যুর ১২ মিনিট পর স্ত্রীর মৃত্যু স্বামীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে স্ত্রীর মৃত্যু যশোর শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে মেধাবৃত্তি পেল ২৭৮০ শিক্ষার্থী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আফগানে ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশ লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা করলো পুলিশ ভাতিজা তামিমের জন্য ‘মাঠ’ ছাড়লেন চাচা আকরাম ঢাকার তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে উচ্ছ্বাস প্রকাশ শি জিনপিংয়ের লালমনিরহাটে বহুল আলোচিত একাধিক ক্লুলেস ছিনতাই মামলার আসামি রানা গ্রেপ্তার বৃষ্টি হবে কবে জানাল আবহাওয়া অফিস আফগানিস্তানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প

মাশরুম চাষে ভাগ্যবদল

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৫৪ Time View

 

ডেস্ক নিউজ : মাশরুম চাষে ভাগ্যবদল করেছেন লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের মোহাম্মদ হোসেন। তিনি ইউনিয়নের সাতগড় কুলালপাড়ার আবদুছ ছালামের ছেলে। গত এক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম ও মাশরুম চাষ করে প্রায় চার লাখ টাকা আয় করেছেন হোসেন। তার সফলতা দেখে এলাকার অনেক তরুণ বেকার মাশরুম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সরেজমিন জানা গেছে, তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর সৌদি আরবে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। সেখানে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সৌদি আরব থেকে দেশে ছুটিতে আসেন। ভিসা জটিলতা ও করোনার কারণে আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে ভিডিও দেখে মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ হন। 

২০২১ সালের জানুয়ারিতে ৬ হাজার টাকা খরচে মাগুরার ড্রিম মাশরুম প্রশিক্ষণ সেন্টার থেকে মাশরুম চাষের ওপর ১০ দিনের প্রশিক্ষণ নেন হোসেন। এর পর নিজ বসতবাড়ির পাশে মাশরুম চাষ শুরু করেন। এতে দেখেন সফলতার মুখ। খরচ বাদে প্রতিমাসে তার আয় এখন ৩০-৩৫ হাজার টাকা। শুরুতে ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে ওয়েস্টার প্রজাতির মাশরুম বীজ সংগ্রহ করেন হোসেন। প্রথম দিকে এক হাজার প্যাকেট দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে তার খামারে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার প্যাকেট। প্রতি প্যাকেটে ৫০ টাকার বেশি খরচ হয়। এক মাস পর থেকে ফলন দেওয়া শুরু হয়। 

প্রতি প্যাকেট থেকে এক মাস অনবরত ফলন পাওয়া যায়। তিনি প্রতিদিন ১৫-১৬ কেজি করে মাশরুম পান। প্রতি কেজি মাশরুম ২০০-২৫০ টাকা ধরে পাইকারি বিক্রি হয়, আর খুচরো ৩০০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তার উৎপাদিত মাশরুম চট্টগ্রাম নগরী, বান্দরবান ও পটিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে তার খামারে ৭-৮ জন কর্মচারী রয়েছে। মোহাম্মদ হোসেন জানান, তিনি আরও বড় পরিসরে মাশরুম চাষ করতে চান। শিগগিরই বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়াও শুরু করবেন। তিনি সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে তার খামারের পরিধি বড় করতে সহজ হবে বলে মনে করেন। তার উদ্যোগ দেখে স্থানীয় অনেক বেকার তরুণ মাশরুম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

লোহাগাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধি গুণ সম্পন্ন খাবার। এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো অ্যাসিড, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। স্বাদ, পুষ্টি ও ঔষধি গুণ। স্বল্প পুঁজি ও শ্রম ব্যয় করে অধিক আয় করা সম্ভব বলে ইতোমধ্যে এটি সারা দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় লোহাগাড়াতেও পরিচিত হয়ে উঠছে মাশরুম চাষ। মাশরুম চাষের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রতি কর্মদিবসে ‘মাশরুম অবহিতকরণ ও কার্যক্রম প্রদর্শন’ শীর্ষক অনানুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দেয়। আবাসিক সুবিধার প্রয়োজন হলে স্থানীয় কৃষি অফিসের সুপারিশ সংবলিত একখানা আবেদনপত্র ওই ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক বরাবর দাখিল করতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে আপনি মাশরুম চাষ, স্পন উৎপাদন, মাশরুম বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিখতে পারবেন। 

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৩ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:১৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit