ডেস্ক নিউজ : মাগুরায় প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে আত্মহনন করেছে প্রেমিকা। তারা দুজনই স্কুলশিক্ষার্থী। প্রেমঘটিত মনোমালিন্যের জের ধরে মাগুরা পৌর এলাকার বরুনাতৈল ও তার পার্শ্ববর্তী গ্রাম বারাশিয়া গ্রামে ঘটেছে পৃথক এ ঘটনা। আত্মহননকারী দুজন হলো বরুনাতৈল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সুমন মোল্যা (১৯) এবং পার্শ্ববর্তী বারাশিয়া গ্রামের হিরোক মিয়ার মেয়ে এ্যানি খাতুন (১৬)। সুমন মাগুরা সরকারি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ও এ্যানি মাগুরা দুধমল্লিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
সুমনের প্রতিবেশীরা জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে কিছুটা বিষণ্ন ছিলেন সুমন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি তাঁর শয়নকক্ষের দরজা বন্ধ করে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন। সন্দেহ হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সুমনকে ডাকতে যায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এ সময় অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে সুমনকে ঘরের ভেতর আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তারা। এ সময় পরিবারের সদস্যদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে সুমনের লাশ নামায়।
পার্শ্ববর্তী বারাশিয়া গ্রামের তরুণী এ্যানির সঙ্গে প্রেমঘটিত বিষয়ে কয়েক দিন যাবৎ সুমনের মনোমালিন্য চলছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমন গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রেমিক সুমনের আত্মহত্যার খবর শুনে আজ বুধবার সকালে নিজ ঘরে গালায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে প্রেমিকা এ্যানি খাতুন। তার প্রতিবেশীরা জানায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে এ্যানি ঘরে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ দরজা বন্ধ করে থাকে। সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সকাল ১০টার দিকে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে সুমনের আত্মহত্যার খবর পায় এ্যানি। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সে আত্মহননের এ ঘটনা ঘটায়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, ‘অপরিণত প্রেম ও আবেগের বশবর্তী হয়ে তারা এই আত্মহননের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। তবে উভয় পরিবারের কেউ এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। এ ধরনের প্রবণতা প্রতিরোধে পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা জরুরি।’
কিউএনবি/আয়শা/৫ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:০২