ডেস্ক নিউজ : বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বুধবার বেলা ৩টা ৩ মিনিটে খালেদা জিয়ার জানাজা শুরু হয়। জানাজায় অংশ নিতে মানুষের ঢল নামে। বেলা ৩টা ৫ মিনিটে জানাজা সম্পন্ন হয়।
বেলা তিনটা পর্যন্ত মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের আশপাশ, বিজয় সরণি, খামার বাড়ি, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, শাহবাগ, মোহাম্মদপুর পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। জানাজায় এতো মানুষের উপস্থিতি সবার ভাগ্যে জোটে না বলে জানালেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর ফেসবুক পোস্টে ফারুকী লেখেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জানাজায় জাতি তাকে সবচেয়ে সম্মানের বিদায় দিয়েছিলো। আজ বেগম খালেদা জিয়াকে দেয়া হলো এক ঐতিহাসিক বিদায়।
মানিক মিয়া এভিনিউ-সংসদ ভবন দক্ষিন প্লাজা থেকে শুরু করে একদিকে সোবহানবাগ, অন্যদিকে কারওয়ান বাজার, আরেকদিকে বিজয় সরণী, শ্যামলী হয়ে এই যে জনতার স্রোত এটা বাংলাদেশের মানুষের কৃতজ্ঞতার প্রকাশ। এটা সবার ভাগ্যে জোটে না।
খালেদা জিয়ার জানাজায় দেশের সর্বস্থরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারাসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন, আরও ছিলেন বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা।
খালেদা জিয়ার জানাজাস্থলে উপস্থিত হয়ে সবার কাছে মায়ের জন্য দোয়া চান তার ছেলে তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমার মায়ের কোনো ঋণ থাকলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, পরিশোধ করবো। তিনি কোনো ভুল করলে সন্তান হয়ে তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। দোয়া করবেন। আল্লাহতায়ালা যাতে উনাকে বেহেশত দান করেন।
৮০ বছর বয়সে বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানাজা শেষে তাকে জিয়া উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
কিউএনবি/আয়শা/৩১ ডিসেম্বর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৭:২২