ডেস্ক নিউজ : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র জমাদানে আইনি জটিলতা নিরসন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তিসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এ বৈঠকে অংশ নেয়।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ ও নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির প্রতিনিধি দলের অপর দুই সদস্য ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া।
বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রাখতে আরপিও বহির্ভূত শর্ত শিথিল করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে জামিনের সার্টিফায়েড কপি বা অর্ডার শিট জমা না দিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আরপিও’র ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রার্থীদের কেবল ফৌজদারি মামলার তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ বর্তমানে জামিনের সার্টিফায়েড কপি বা অর্ডার শিট চাওয়া হচ্ছে, যা মূল আইনে নেই। রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে বহু গায়েবি মামলা থাকায় এসব কাগজ সংগ্রহ করা অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে অতিরিক্ত কাগজপত্র না চেয়ে আইনের মূল বিধান অনুযায়ী তথ্য গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ‘অভিযুক্ত’ বলতে কেবল আদালতে চার্জ গঠিত মামলাকে বোঝানোর বিষয়ে স্পষ্টীকরণ চাওয়া হয়েছে, যাতে ঢালাও এফআইআরের কারণে প্রার্থীরা হয়রানির শিকার না হন।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও জানান, নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে একটি প্রযুক্তিগত সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। সাধারণত প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনি এজেন্ট নিয়োগ করা হয়। সে কারণে প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত প্রার্থী নিজেই যাতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন, এ জন্য বিধিতে ‘প্রার্থী অথবা নির্বাচনি এজেন্ট’ শব্দযুগল ধারাবাহিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন গুরুত্বসহকারে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নির্বাচনি পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্ব সরকারের হলেও নির্বাচনকালীন সময়ে কমিশন কর্মকর্তাদের বদলি ও নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করে। জনগণ যেন উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সে জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কিউএনবি/অনিমা/২৩ ডিসেম্বর ২০২৫,/সকাল ৯:৪৭