ডেস্ক নিউজ : ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণসহ ৫ দফা দাবিতে চরফ্যাশন থেকে হেঁটে শুরু হওয়া ঢাকার সেতু ভবন অভিমুখে লংমার্চে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়েছেন। তারা ইতোমধ্যে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লংমার্চে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পৌঁছেছেন।
এর আগে বুধবার বিকালে হেঁটে পদ্মা সেতু অতিক্রমের অনুমতি না পাওয়ায় খরস্রোতা পদ্মা নদী সাঁতরে পার হন তারা। এ সময় দীর্ঘক্ষণ নদীতে সাঁতার কাটায় মো. নোমান হাওলাদার, মো. তানজিল ও মো. মেহেদী নামে তিন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের চিকিৎসার জন্য রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ, ভোলার ঘরে ঘরে আবাসিক গ্যাস সংযোগ, গ্যাসভিত্তিক শিল্প কলকারখানা স্থাপন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।
লংমার্চে অংশ নেওয়াদের মধ্যে মো. শরীফ হাওলাদার জানান, ৫ দফা আমাদের প্রাণের দাবি। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ভোলার চরফ্যাশন থেকে শুরু হওয়া লংমার্চ বর্তমানে ঢাকার কাছাকাছি রয়েছে। বুধবার পদ্মা সেতু হেঁটে পার হওয়ার অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ, তাই বাধ্য হয়েই খরস্রোতা পদ্মা নদী সাঁতরে পার হয়েছি। এ সময় আমাদের তিনজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ১৭ জনের লংমার্চ নিয়ে শুক্রবার আমরা প্রথমে ঢাকায় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে অবস্থান নেব এবং পরবর্তীতে সেতু ভবনের সামনে যাব। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ফ্যাশন স্কয়ারের সামনে থেকে ২০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শুরু হয় লংমার্চটি।
কিউএনবি/আয়শা/২০ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ১০:২৪