বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

জুলাই সনদের পুরোটা নারীবর্জিত, আমি তা গ্রহণ করি না : শিরীন পারভীন

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৩ Time View

ডেস্ক নিউজ : নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেছেন, ‘জুলাই সনদের পুরো প্রক্রিয়াটা নারীবর্জিত ছিল। আমি এই সনদ গ্রহণ করি না।’

তিনি বলেন, ‘সেদিন দক্ষিণ প্লাজায় (জুলাই সনদ সইয়ের দিন) আমি উপস্থিত ছিলাম। তখনই আমি পোস্ট করেছি যে আজ আবারও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পুরুষ শাসন কায়েম হলো। কোনো নারীর কথা নেই, কোনো নারীকে রাখা হয়নি, কোনো নারী সংগঠনকে ডাকা হয়নি।’
শিরীন পারভীন হক বলেন, ‘এটি আমাদের শুধু ব্যথিতই করেনি, বরং গভীর উদ্বেগও তৈরি করেছে। এ পরিস্থিতি আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমার ভয় রয়েছে। তাই আপনারা যতই বাস্তবায়নের কথা ভাবুন, আমি এই সনদ গ্রহণ করি না।
এ সনদের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’
শনিবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন রূপরেখা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় নারীশক্তি এ আলোচনাসভার আয়োজন করে।
শিরীন হক বলেন, ‘আমরা জলে ভেসে আসিনি।
আমাদের বড় বোনরা বাংলাদেশ মহিলা পরিষদে ১৯৭০ সাল থেকে সংগ্রাম করছেন আর আমরা ১৯৮৪ সাল থেকে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। আমরা লড়াই করেছি। তাই নারীদের এভাবে উপেক্ষা করা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের প্রতিবাদ স্পষ্ট, আমরা জুলাই সনদ গ্রহণ করি না।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, ৫ আগস্টে আমাদের প্রত্যাশা আকাশ ছুঁয়েছিল।
যে বাচ্চা ছেলে-মেয়েরা রাস্তায় লড়াই করেছে, বাস্তবে কারো অঙ্গহানি হয়েছে, কেউ শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আজও অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে বা বাড়িতে চিকিৎসাধীন। কিন্তু তারা কেন আন্দোলনে নেমেছিল? কারণ তারা একটি সুন্দর, ভালো এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল।’
‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনের সময় মূল লক্ষ্য ছিল এই বাচ্চাদের লড়াইকে সামনে রেখে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের জন্য নারীর ভূমিকা নির্ধারণ করা।’তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদনেই স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, সর্বস্তরে নারীর প্রতি বৈষম্য ও সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘কমিশন চার মাস ধরে কাজ করেছে, ঢাকার বাইরে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে পরামর্শ সভা করেছে। তাদের চাহিদা, দাবি ও প্রত্যাশা সংগ্রহ করে প্রস্তাবগুলো তৈরি করা হয়েছে। কমিশন মোট ৪২৩টি প্রস্তাব করেছে, যা তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ১. অন্তর্বর্তী সরকার অস্থায়ী অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব; ২. পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের বিবেচনার জন্য প্রস্তাব এবং ৩. দীর্ঘমেয়াদি মনস্তাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব।’

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৮ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ১০:২০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

November 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit