ডেস্ক নিউজ : নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বিনিয়োগ আনতে এবং আধুনিকায়ন করতে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন রয়েছে। কিন্ত যাদের ব্যক্তি স্বার্থে আঘাত লাগে তারা বলেন, আমরা বিদেশিদের চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দিচ্ছি। কিন্ত কিভাবে দিয়ে দিচ্ছি? গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন সেক্টরে কি বিদেশি কোম্পানি নাই?
নগরবাড়ি নদী বন্দর সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, এই বন্দরের সুফল ইতোমধ্যে এখানকার ব্যবসায়ীরা পেতে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে আরও সুযোগ হলে এখানে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সেটিও আমরা পরিকল্পনায় রেখেছি। এছাড়া আমরা চারটা ড্রেজার মেশিন পেয়েছি। নাব্যতা সংকট নিরসনের জন্য এর একটি এখানে দেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে মাঝারি আধুনিক একটি পোর্ট হিসেবে এটিকে গড়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর তথ্যমতে, নগরবাড়ী ঘাট নদীপথে সার, সিমেন্ট, কয়লাসহ ভারি পণ্য পরিবহণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। ২০১৮ সালে এই ঘাটকে আধুনিক নৌবন্দরে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়। ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতা ও মামলার কারণে দুই দফা মেয়াদ এবং ব্যয় বৃদ্ধির পর এটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলো। ৩৬ একর জমির ওপর নির্মিত এই বন্দরে রয়েছে ৩৬০ মিটার কংক্রিটের জেটি, টার্মিনাল, ওয়্যারহাউস, গোডাউন, বাফার গোডাউন, ওপেন শেড ও দ্রুত পণ্য লোড-আনলোডের সুবিধা।
ক্রেন ও পাকা জেটির ব্যবহারে পণ্য খালাসের গতি বেড়েছে ১০ গুণ, যা রাজস্ব আয় ও কর্মসংস্থান বাড়বে। পূর্বে প্রতিদিন ২ হাজার টন পণ্য খালাস হলেও এখন প্রায় ২০ হাজার টন পণ্য খালাস করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম। এছাড়া অনুষ্ঠানে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
কিউএনবি/আয়শা/০৮ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ৯:৫০