মাটিরাঙ্গায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব ও ব্যবহার” বিষয়ক দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্টিত
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
Update Time :
বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫
২৫
Time View
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও উপজেলার ১০টি হাইস্কুলের আইসিটি শিক্ষকদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব ও ব্যবহার” বিষয়ক দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্টিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৬অক্টোবর)সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত মাটটিরাঙ্গা উপজেলা সেমিনার কক্ষে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, মাটিরাঙ্গা উপজেলা কার্যালয় এর আয়োজনে উপজেলা প্রশাসন এর সার্বিক সহযোগিতায় দিনব্যাপি কর্মশালায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান এর সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এর পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) উপ-সচিব মো.মাহবুব আলম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এর উপজেলা আইসিটি অফিসার রাজীব রায় চৌধুরী এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আইসিটি অফিসার মাহবুবা আক্তার।
সেমিনারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব ও ব্যবহার বিষয়ে প্রেজেন্টেশন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এর উপজেলা আইসিটি অফিসার রাজীব রায় চৌধুরী এসময় বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার মো.সবুজ আলী,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো:আরিফুল মোল্লা,উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.সুমেন চাকমা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.ইশতিয়াক আহমেদ,মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক নুরুল আবছার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত ঝর্না চাকমা, মাটিরাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো.জসীম উদ্দিন জয়নাল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান বলেন,তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন একটি প্রযুক্তি যা শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংকিংসহ প্রায় সব খাতেই ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। শুধু কর্মক্ষেত্রই নয়, আমাদের জীবনধারাতেও এর প্রভাব পড়ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কাজগুলো দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা সম্ভব। যেকোনো বিশাল তথ্যভাণ্ডার থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে মানুষের তুলনায় এআই অনেক দ্রুত এবং কার্যকরী। এআই সিস্টেমগুলোতে সাধারণত ভুলের সম্ভাবনা কম। তাই এআই ব্যবহার করে আমরা নিজেকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে পারি। ভবিষ্যতের জন্য এআই বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এর পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) উপ-সচিব মো.মাহবুব আলম বলেন, ‘এখন আমরা অনেকেই এআই, চ্যাট জিপিটিসহ অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যবহার করি। চ্যাট জিপিটি অন্যান্য চ্যাট বটের মতই কাজ করে। চ্যাট জিপিটিকে প্রশ্ন করলে উত্তর দিয়ে দেবে। এই সফটওয়্যারগুলো ব্যবহারে যেমন সুবিধা তেমন ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। এটি গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যদি এই তথ্যগুলো হ্যাক হয়ে যায় বা ভুলভাবে ব্যবহৃত হয়, তাহলে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। আমরা সবসময় এগুলো ভালো কাজে ব্যাবহার করবো।’