স্পোর্টস ডেস্ক : রোববার (২ নভেম্বর) কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের হয়ে ৮৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেন মুমিনুল হক। কিন্তু দিনের শুরুতেই ৯২ রানে আউট হয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৪ উইকেটে ২৬০ রান নিয়ে দিন শুরু করা চট্টগ্রাম শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ৩৫৮ রানে। বরিশালের অধিনায়ক তানভীর ইসলাম নিয়েছেন ৪ উইকেট। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১১৫ তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বরিশাল।
দিনের আরেক খেলায় প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ নাঈম ও মাহফিজুল ইসলামের পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন আবদুল মজিদ। অধিনায়ক শুভাগত হোম ও আবু হায়দারও খেলেছেন ঝোড়ো ইনিংস। তিনজনের ব্যাটে ভর করে ময়মনসিংহ ৬ উইকেটে ৫৫৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে। কক্সবাজারের একাডেমি গ্রাউন্ডে বল হাতেও ভালো শুরু করেছে তারা। ২ উইকেটে ১৮ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে রংপুর।
২ উইকেটে ২৮১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে ময়মনসিংহ। তবে স্কোরবোর্ডে ২২ রান যোগ করতেই আরও দুই উইকেট হারায় তারা। এরপর মজিদ ও শুভাগত গড়েন ১৩০ রানের জুটি। ৮৬ বলে ৬৫ রান করে শুভাগত আউট হওয়ার পর মজিদ জুটি গড়েন তাহজিবুল ইসলামের সঙ্গে। ষষ্ঠ উইকেটে আসে ৩৪ রান। এরপর হায়দারকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে তোলেন ৭৭ রান। ৩৪ বলে ৫ ছক্কায় ৬০ রান করেন হায়দার।
আরেক প্রান্তে ১৮৬ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৯ রানে অপরাজিত থাকেন মজিদ। ১১০ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি তার ১৪তম সেঞ্চুরি। অন্যদিকে, সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে ৫ উইকেটে ১২০ রান নিয়ে দিন শুরু করা ঢাকা বিভাগ শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ৩১০ রানে। ২৭২ বলে ১৩ চারে ১২২ রান করে ইনিংসের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি ও ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস।
১৭৫ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর সুমন খানকে সঙ্গে নিয়ে অষ্টম উইকেট জুটিতে ১২৫ রানের জুটি গড়েন মাহিদুল। ৯৯ বলে ৭৪ রান করেন সুমন। এটিও তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস। এদিকে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে খুলনার শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম দিনে অলআউট হয় মাত্র ১২১ রানে। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৬৮ রান তুলে। এখনো রাজশাহীর প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৭৯ রানে পিছিয়ে আছে তারা।
৩ উইকেটে ৮৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা রাজশাহী অলআউট হয়েছে ২৬৮ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন সাখির হোসেন। ১৬৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর নবম উইকেট জুটিতে আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদের সঙ্গে যোগ করেন ৬২ রান, আর দশম উইকেটে নাহিদ রানার সঙ্গে যোগ করেন ৩৮ রান।
কিউএনবি/খোরশেদ/০৩ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ১২:০০