বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বাংলাদেশের হারে ব্যাটারদের সমালোচনা করে যা বললেন রুবেল উইকিপিডিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ইলন মাস্কের ‘গ্রকিপিডিয়া’ চালু দৌলতপুরে পদ্মার চরে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় বাহিনী প্রধান কাকন কে প্রধান আসামি করে হত্য মামলা সঞ্চয়পত্রের সার্ভার ব্যবহার করে হাতিয়ে নিলো গ্রাহকের ২৫ লাখ টাকা বিজয়ের সঙ্গে বাগদানের পরেই যে পরিকল্পনার কথা জানালেন রাশমিকা নতুন বছরের প্রথম মাসেই নির্বাচন হওয়া উচিত : নুর দক্ষিণী সিনেমায় অভিষেক সোনাক্ষীর ভারতীয় মিডিয়ার উস্কানিতেই সালমান খানকে নিয়ে বিতর্ক বেড়েছে বাজারে এখন খাবার আছে, কেনার সামর্থ্য নেই টেকসই গণতন্ত্র-জবাবদিহিতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়: মাসুদ সাঈদী

যে কারণে গাজীপুর-১ আসন হারাতে পারে বিএনপি

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : গাজীপুর-১ আসনে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে নয়, ত্যাগী ও দুর্দিনে পাশে থাকা নেতাকে প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তাদের মত, নইলে বিএনপি নিশ্চিত আসন হারাবে। জেলার সদস্য সচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী আধিপত্য ধরে রাখতে গিয়ে বিএনপির যে বদনাম করেছেন, তাতে সাধারণ ভোটারদের আস্থা ফেরানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শিগগিরই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ও হাইব্রিডদের কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌরসহ অন্যান্য কমিটি থেকে বাদ দিয়ে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। গত কয়েক দিন সরেজমিন ঘুরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রধানত তারা মূল্যায়িত হবেন, যারা ২৪-এর গণ-আন্দোলনসহ গত ১৭ বছর বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একই সঙ্গে দলীয় ইমেজ অবশ্যই থাকতে হবে। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের প্রথমপর্বে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘অবশ্যই কোনো একটি পার্টিকুলার এলাকা থেকে আমরা আমাদের দলের এমন একজন ব্যক্তিকেই নমিনেশন দিতে চাইব, যিনি ওই এলাকার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন।

যার সঙ্গে ওই এলাকার মানুষের সম্পৃক্ততা আছে, উঠাবসা আছে, এলাকার মানুষের সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ, তরুণ, নারী, মুরুব্বিসহ ছাত্র-ছাত্রী সবার সঙ্গে যার একটি কমিউনিকেশন আছে। খুবই স্বাভাবিক এই ধরনের মানুষকেই অগ্রাধিকার দেব। অর্থাৎ যার প্রতি জনসমর্থন আছে। যে জনসমর্থনকে তার সঙ্গে রাখতে পারে। জনগণের যার প্রতি সমর্থন আছে সেরকম মানুষকেই আমরা নমিনেশন দেব।’ 

জানা যায়, এই আসনে বিএনপি থেকে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু ‘হাইব্রিড’ নেতা চৌধুরী ইশরাককে চায় না এলাকাবাসী। কারণ তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীর সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। এই নেতার একক সিদ্ধান্তের কারণে এ আসনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের মাঝে তার কর্মকাণ্ড নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

স্থানীয় একাধিক নেতা জানান, কারও সমালোচনাও সহ্য করতে পারেন না চৌধুরী ইশরাক। কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদ তাকে নিয়ে প্রকাশ্যে সামান্য মন্তব্য করেন। এ কারণে কেন্দ্রের মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করান তিনি। পরে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করান। এরপর তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আবার উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকেও একইভাবে গ্রেফতার করানো হয়। নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন।

নেতাকর্মীরা আরও জানান, চৌধুরী ইশরাকের নেতৃত্বে কালিয়াকৈরে আরও বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটিতেও অন্যান্য কমিটির মতো দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছেন এমন নেতাদের পদ দিয়েছেন। ইশরাকের মনগড়া কমিটি দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহ-সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌরমেয়র মজিবুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইজুদ্দিন আহম্মেদসহ স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা ঐক্য গড়ে তোলেন।

তারা কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড ও সফিপুর বাজারে বেশ কয়েকটি বড় সভা ও সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের পাঁচটি এবং ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সর্বশেষ ৮ আগস্ট মৌচাক, আটাবহ ও বোয়ালি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ঘোষণা হয়। বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে সুমীর কুমার গুহকে আর সদস্য সচিব করা হয়েছে রিপন আল হাসানকে। এই কমিটি ঘোষণার পরও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন যারা জেল-জুলুমের শিকার হয়ে রাজপথের রাজনীতি করে আসছেন তারা কমিটি বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ করেন। 

বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজম খান যুগান্তরকে বলেন, ‘দল করতে গিয়ে জেল খেটেছি। জেলে থাকায় মায়ের মৃত্যুর আগে শেষ কথাটাও বলতে পারিনি। ডান্ডাবেরি আর হাতকড়া পরা অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়েছি। তার পরও কমিটিতে যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হয়নি। দলের জন্য আর কী করলে আমাদের মতো নেতার জায়গা হবে।’বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মৌচাক ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, ‘যাদের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে, তারা বিগত সময়ে গলায় নৌকার ব্যাজ ঝুলিয়ে মিছিল করে আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচন করেছে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৫ অক্টোবর ২০২৫,/বিকাল ৩:৫০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit