আসাদুজ্জামান আসাদ , দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি পাতরাপাড়া গ্রামের অনধিকৃত জায়গায় কয়লা উত্তোলনের কারণে বাড়ীঘর দেবে যায় এবং বাড়ীঘরে ফাটল সৃষ্টি হয়। এ কারণে বসতবাড়ী রক্ষা কমিটি এক সংবাদ সম্মেলন করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বৈদ্যনাথপুর পাতরাপাড়া, বড়পুকুরিয়া এলাকার বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ৪ দফা দাবী বাস্তবায়নে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুকি নিয়ে গ্রামগুলিতে বসবাস করে আসছি। ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে ভূ-গর্ভে তীব্র কম্পনের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমাদের গ্রামের প্রায় ৫শতাধিক বাড়ীর দেবে যায় এবং বাড়ীঘরে ফাটল সৃষ্টি হয়।
এ কারণে বাড়ীগুলিতে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা অত্যন্ত ঝুকির মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি। এক যুগের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও রাস্তাগুলি এখনও মেরামত করা হয় নি। খনি কর্তৃপক্ষের অধিগ্রহণকৃত এলাকা হওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এ রাস্তাগুলিতে কোন কাজ করবে না বলে জানান। তাহলে কি এ রাস্তাগুলি এভাবে থাকবে? বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বহুবার অবহিত করলেও তিনি এসব বিষয়ে এলাকার মানুষের কোন কথা কর্ণপাত করছে না। বহুবার আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। কর্তৃপক্ষ শুধু আমাদের আশ্বাস প্রদান করে আসছে। কাজের কাজ কিছুই হয় না। রাস্তা এবং বসবাসের গ্রামগুলিকে লক্ষ না দিয়ে তারা বাহিরের অন্য মৌজার জমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
সেখানে তারা লাভ দেখছেন। পাতরা পাড়া গ্রামটির এখন পূর্বাংশে দিকে প্রায় দেড় থেকে দুই হাত দেবে গেছে। বর্তমানে আমরা করুণ অবস্থার মধ্যে বসবাস করছি। গত ২১/০৫/২০২৫ইং তারিখে প্রতিকার পাওয়ার জন্য প্রদান উপদেষ্টা সহ জ্বালানী মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে বিষয়টি অবগত করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গ্রামগুলি ঘুরে দেখো যায় ৫০-৬০টি বাড়ী দেবে গেছে এবং বাড়ীতে ফাটল ধরেছে। খনি এলাকার শহিদুল ইসলাম, মোছাঃ মহসিনা, মোঃ মামুন, সুলতান মাহমুদ সহ একাধীক ব্যক্তি বলেন এমন অবস্থা দেখা দিয়েছে গ্রামে আর বসবাস করা সম্ভব নয়। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবু তালেব ফারাজী এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, সার্ভে টিম কাজ করছে। কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে তার প্রতিবেদন এখনও আমাদের হাতে এসে পৌঁছায় নি। প্রতিবেদন হাতে পেলে আমরা অতি দ্রুত কাজ শুরু করব।
কিউএনবি/আয়শা/১৬ অক্টোবর ২০২৫,/বিকাল ৪:৫০