এভাবে নামাজ আদায় করতে পারলে পরবর্তীতে তা পুনরায় পড়তে হবে না। আর যদি কেবলামুখী হয়ে রুকু-সিজদার সাথে নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে যেভাবে সম্ভব বসে বা ইশারায় নামাজ পড়ে নিবেন। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে সতর্কতামূলক ঐ ফরজ নামাজ আবার পড়ে নিবেন।
আর বাসে যেহেতু সাধারণত দাঁড়িয়ে স্বাভাবিকভাবে নামাজ পড়া যায় না তাই কাছাকাছি যাতায়াতের ক্ষেত্রে ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে গন্তব্যে পৌঁছে নামাজ আদায় করা সম্ভব হবে না বলে মনে হলে ও নেমে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ অথবা অসুবিধাজনক না হলে, পথিমধ্যে নেমে ফরজ নামাজ পড়ে নিবেন।
আর দূরের যাত্রা হলে অথবা যে ক্ষেত্রে নেমে গেলে ঝুঁকি অথবা সমস্যায় পড়ার আশংকা থাকে, সেক্ষেত্রে বাস না থামলে সিটেই যেভাবে সম্ভব বসে বা ইশারায় নামাজ আদায় করে নিবেন। সতর্কতামূলক পরবর্তীতে এর কাজা করে নিবেন। দীর্ঘযাত্রায় বাস চালকদের উচিত, ফরজ নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে কোনো মসজিদে যাত্রা বিরতি করা। এ বিষয়ে বাস মালিকদেরও ইতিবাচক নির্দেশনা দিয়ে রাখা উচিত।
এক্ষেত্রে মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতিগুলো যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারে। আর যাত্রীদের কর্তব্য হলো, বাসের একজন মুসল্লি নামাজ পড়তে চাইলেও তার জন্য বাস থামাতে চালককে নির্দেশনা দিয়ে রাখা। (ইলাউস সুনান ৭/২১২; মাআরিফুস সুনান ৩/৩৯৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/১০১)