ডেস্কনিউজঃ যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের বাল্টিমোরে অবস্থিত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজ করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। জনস্বাস্থ্য শিক্ষা এবং গবেষণায় বিশ্বের এক নাম্বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের MPH সিলেবাস রিভিউ এবং রিসোর্স ম্যাপিং এর কাজ শীঘ্রই শুরু করতে যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগে গবেষণার কাজও শুরু করা হবে বলে জানান জাতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস।
উপাচার্য ড.আমান জানান প্রাথমিক আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে, এবার কাজে নামার পালা। অনেকেই জানেন যে ব্যক্তিগতভাবে আমার গবেষণার প্রায় ৭০ শতাংশ জনস্বাস্থ্য নিয়ে। আমি নিজে IUB এবং ASAUB এর MPH বিভাগ প্রতিষ্ঠার সাথে সরাসরি জড়িত এবং তাদের জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা হিসেবে বহুবছর কাজ করেছি। ব্র্যাকের জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ এবং ICDDR,B এর সাথে আমি বেশ কয়েক বছর গ্লোবাল ফান্ড প্রজেক্টে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছি। NSU এর MPH এর সাথেও আমি কাজ করেছি।
এইসব অভিজ্ঞতার আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শীঘ্রই তাদের নিজস্ব MPH প্রোগ্রাম চালু করতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে উপাচার্য জানান একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটে ইতোমধ্যেই অনুমতি লাভ করেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসোর্স এবং কানেকশন আছে দিয়ে দেশী বিদেশী স্কলারদের সহায়তায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে বাংলাদেশের একটা বেস্ট MPH প্রোগ্রাম উপহার দিতে পারবে।
বিশ্বের দেশে দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধুমাত্র বোর্ড হিসেবে কাজ করে না। যেমন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং সিংগাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। নিজ দেশের কল্যাণে বিরাট বিরাট গবেষণাগার, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেন্টার এবং ভালো ভালো বিষয়ে পড়াশোনার ব্যবস্থা করে থাকে। এসব তারা Affiliated College গুলোকে নিয়ে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে স্বতন্ত্রভাবেই তা করে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে যে সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা শুধুমাত্র বোর্ড মনে করেন তাদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য ড.আমান বলেন ,আগামী একবছরে ইনশাল্লাহ আমরা আপনাদের বোর্ডের বেশিরভাগ সমস্যা যেমন সেশন জ্যাম, পরীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা ইত্যাদি সমাধানও করব ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন যে, কয়েক যুগের সমস্যা একরাতের মধ্যে সমাধানের আলাউদ্দিনের চেরাগ আমাদের হাতে নাই। ইতোমধ্যেই প্রায় ৫০টির বেশি সংস্কার আমরা করেছি। উচ্চ শিক্ষা কোন অধিকার না, এটি যে কারও একটা চয়েস। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচও ২০১৫ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে। কিন্তু গত একযুগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ফি রিভিউ করা হয় নাই। ফলে, আমাদেরকে বাধ্য হয়ে ফি রিভিউ করতে হয়েছে। এতে কোন শিক্ষার্থীর সমস্যা হলে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ উদ্যেগ গ্রহণ করবে। মেধাবী হলে টাকা পয়সার জন্যে কারও পড়াশোনা বন্ধ হবে না। মনে রাখতে হবে যে আমরা সরকারের কাছ থেকে কোন টাকা নেই না, বরং অকল্পনীয়ভাবে উল্টোটাও ঘটেছে অতীতে।
কিউএনবি /আয়েশা/২৪.০৯.২০২৫/রাত ১০.৪৫