সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন

রাজধানীতে চড়া ইলিশের বাজার, কেজিতে বেড়েছে ৪০০ টাকা

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ৬৩ Time View

স্পোর্টস ডেস্ক : শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। তবে বাজারে কমছে না দাম। উল্টো সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০-২৬০০ টাকায়। এছাড়া ১ কেজি ২০০-৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৩০০০-৩২০০ টাকা ও দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ টাকায়। আর ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০-২২৫০ টাকায় এবং ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৮০০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।

 
তুষ্ট নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘ইলিশের দাম ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ইলিশ কেনার সামর্থ্য অনেকেরই নেই, ধরাছোঁয়ার বাইরে। অন্যান্য মাছের দামও বেশ চড়া।’আর মাছ বিক্রেতারা বলছেন, আবহাওয়ার কারণে সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারছে না জেলেরা। ফলে মাছ কম আসায় দাম বাড়ছে। রাজধানীর কাওরান বাজারের ইলিশ ব্যবসায়ী মো. শুকুর আলী বলেন, ‘বাজারে ইলিশের সরবরাহ তেমন একটা নেই। ইলিশ কম আসছে। এতে দাম কমছে না।’
 
অন্যান্য মাছের দামও আগের মতোই চড়া। প্রতিকেজি বোয়াল ৭৫০-৯০০, কোরাল ৮০০-৮৫০, আইড় ৭০০-৮০০, চাষের রুই ৩৮০-৪৫০, কাতল ৪৫০, তেলাপিয়া ১৮০-২২০, পাঙাশ ১৮০-২৩৫ এবং পাবদা ও শিং ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চাষের ট্যাংরা ৭৫০-৮০০, কাঁচকি ৬৫০-৭০০ এবং মলা ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

দাম কমেছে ডিম ও মুরগির। ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪০ টাকা ও সাদা ডিম ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ডজন হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম যথাক্রমে ২৪০ ও ২৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
মুরগির কেজিতে দাম কমেছে ১০ টাকার মতো;  প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৯০-৩২০ টাকা, লাল লেয়ার ৩২০ টাকা, সাদা কক ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৬০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
বাজারে ওঠানামা করছে সবজির দাম। কোনো কোনো সবজির দাম কমলেও আবার বেড়েছে কোনোটির। বর্তমানে প্রতিকেজি বেগুন ৮০-১৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, ধুন্দল ৪০-৫০ টাকা, কচুর মুখী ৬০ টাকা, শসা ৮০-১০০ টাকা ও পেঁপে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
 
এছাড়া বরবটি ১০০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, গাজর ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, শিম ২০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, ধনেপাতা ৬০ টাকা ও উচ্ছে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি পিস চালকুমড়া ৬০ টাকা ও প্রতি পিস লম্বা লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের জন্য গুনতে হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা।
 
সবজির পাশাপাশি দাম বেড়েছে সব ধরনের শাকেরও। প্রতি মুঠো লাউ শাক ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও পুঁইশাক ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি আঁটি ডাঁটাশাক ২০-২৫ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, লালশাক ২০-৩০ টাকা ও পাটশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
বিক্রেতারা বলছেন, কিছু কিছু শাক-সবজির দাম কমেছে। আবার কোনোটায় দাম বেড়েছে, আবার স্থিতিশীল রয়েছে কোনো কোনো শাক-সবজির দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, কোনো কোনো সবজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। আবার কোনো কোনো সবজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছেও। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে।
 
এদিকে, চালের বাজারে কোনো বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। কারওয়ানবাজারের চাল ব্যবসায়ী রাকিব বলেন, ‘নতুন করে দাম বাড়েনি। তবে কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৮২-৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮৫-৯২ টাকা ও মোটা চাল ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’ 

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৯ আগস্ট ২০২৫/দুপুর ১:০৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit