বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৪ অপরাহ্ন

যেসব আমলে পাপমোচন হয়

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ৪১ Time View

ডেস্ক নিউজ : আল্লাহর বিশেষ বান্দা নবী-রাসুলরা ছাড়া মানুষ মাত্রই গুনাহপ্রবণ। তাই জেনে-না জেনে, বুঝে-না বুঝে গুনাহ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে সেই গুনাহ থেকে পবিত্র না হওয়া বা গুনাহ থেকে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা না করা জঘন্য অপরাধ। হাদিসে আছে, মানুষ মাত্রই গুনাহগার, তবে গুনাহগারদের মধ্যে তাওবাকারীরাই উত্তম। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৯৯)

তাই আমাদের উচিত সর্বদা গুনাহ থেকে বাঁচার চেষ্টা করা, গুনাহ হলে তাওবা করা এবং যেসব কাজে গুনাহ মোচন হয়, সেগুলো করার চেষ্টা করা। নিম্নে এমন কিছু কাজ তুলে ধরা হলো, যেগুলো পাপমোচন করে।

ইসলাম গ্রহণ : ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে আগের সব গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআনে অমুসলিমদের উদ্দেশ্য করে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘যারা কুফরি করে তাদেরকে বলো, তারা যদি নিবৃত্ত হয় তাহলে তারা পূর্বে যা করেছে তা ক্ষমা করা হবে, আর যদি (কুফরির) পুনরাবৃত্তি করে, তাহলে আগের লোকদের (প্রতি অনুসৃত) নীতির দৃষ্টান্ত তো অতীতের পাতায়ই আছে।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৩৮)

অর্থাৎ তারা যদি ইসলাম গ্রহণ করে, তবে তাদের আগের গুনাহগুলো ক্ষমা করা হবে। বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, ইসলাম পূর্ববর্তী সব পাপ মিটিয়ে দেয়। (মুসলিম, হাদিস : ২২০)

নামাজ কায়েম : নামাজ কায়েমও এমন একটি ইবাদত, যার মাধ্যমে পূববর্তী কাজ থেকে ক্ষমা পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তুমি নামাজ কায়েম করো দিবসের দুই প্রান্তে এবং রাতের প্রথম অংশে।

নিশ্চয়ই ভালো কাজ মন্দ কাজকে মিটিয়ে দেয়। এটি উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য উপদেশ।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ১১৪)

অজু : অজুর মাধ্যমেও মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে গুনাহ ঝরে পড়ে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে, তার দেহ থেকে সব পাপ ঝরে যায়, এমনকি তার নখের ভেতর থেকেও (গুনাহ) বের হয়ে যায়। (মুসলিম, হাদিস : ৪৬৬)

কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকা : সার্বক্ষণিক গুনাহ থেকে বিরত থাকার চেষ্টার করাও এক ধরনের ইবাদত, বিশেষ করে যারা কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে, তাদের গুনাহ মাফ হয়।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা কবিরা গুনাহ পরিহার করো, যা থেকে তোমাদের বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাহলে আমি তোমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেব আর তোমাদের প্রবেশ করাব সম্মানজনক প্রবেশস্থলে।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩১)

রমজানের রোজা : হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি ঈমানসহ পুণ্যের আশায় রমজানের রোজা পালন করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারি, হাদিস : ৩৮)

হজ পালন : আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, মহানবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশে হজ করল এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত রইল, সে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ থেকে ফিরে আসবে, যেদিন তার মা জন্ম দিয়েছিল। (বুখারি, হাদিস : ১৫২১)

ওমরাহ : মহানবী (সা.) বলেছেন, এক ওমরাহর পর আরেক ওমরাহ মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারা। (বুখারি, হাদিস : ১৭৭৩)

সদকা : হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, দান-খয়রাত গুনাহকে বিলীন করে দেয়, যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২১০)

তাওবা : মহানবী (সা.) বলেছেন, গুনাহ থেকে তাওবাকারী নিষ্পাপ ব্যক্তিতুল্য। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২৫০)

ক্ষমা : কখনো কখানো আল্লাহর জন্য কাউকে ক্ষমা করার মাধ্যমেও গুনাহ মাফ হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমাদের মধ্যে যারা মর্যাদা ও প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন এমন কসম না করে যে তারা নিকটাত্মীয়দের, মিসকিনদের ও আল্লাহর পথে হিজরতকারীদের কিছুই দেবে না। আর তারা যেন তাদের ক্ষমা করে এবং তাদের দোষত্রুটি উপেক্ষা করে। তোমরা কি পছন্দ করো না যে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করে দেন? আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২২)

মহান আল্লাহ আমাদের সবার গুনাহগুলো ক্ষমা করুন। আমিন।

কিউএনবি/অনিমা/২৯ আগস্ট ২০২৫/সকাল ৯:৫৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit