ডেস্ক নিউজ : জাহাজের সংখ্যা কমানো নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা অনভিপ্রেত এবং চলমান প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪-৫ মাস আগে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থা শুরু হলে সী ট্রাঙ্ক রুটে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর ফলে ফিডার পোর্টগুলোতে বাংলাদেশমুখি কিছু কন্টেইনার জমে যায়। তখন বিভিন্ন ফিডার অপারেটর চট্টগ্রাম বন্দরে অতিরিক্ত জাহাজ প্রবেশের অনুমতির জন্য অনুরোধ করে।
বিষয়টি আমদানি-রফতানিবান্ধব দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে ২০-২২টি অতিরিক্ত জাহাজকে অনুমোদন দেয়, যাতে ব্যাকলগ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। পরে ব্যাকলগ কমে এলেও অনেক শিপিং কোম্পানি তাদের অতিরিক্ত জাহাজ সরিয়ে নেয়নি। ফলে বর্তমানে ফিডার পোর্টে নিয়মিত ও অতিরিক্ত মিলিয়ে প্রায় ১৩০টি জাহাজ চলাচল করছে। এতে বহিঃনোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যা ও জেটিতে কার্যকালীন সময় বেড়ে গেছে। ফলে আমদানি-রফতানিকারকদের পণ্য হস্তান্তর ও প্রেরণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত দুই মাসের ব্যবহারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে-জাহাজের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অনেক জাহাজ ফুল ক্যাপাসিটিতে কন্টেইনার পাচ্ছে না, যা স্পেস ইউটিলাইজেশনে প্রভাব ফেলছে। এই প্রেক্ষাপটে গত ২০ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সভা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে চলমান জাহাজের সংখ্যা সীমিতকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে সময় অতিবাহিত হলেও কোনো কার্যকর সুপারিশ আসেনি। তাই একটি সমন্বিত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এই পরিস্থিতিতে শিপিং সংস্থা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে, যা কাম্য নয়। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবসাবান্ধব ব্যবস্থাপনায় অঙ্গীকারবদ্ধ। সব মহলের প্রতি এ বিষয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানিয়েছে, চলমান প্রক্রিয়া শেষে সুনির্দিষ্ট ও যথাযথ তথ্য জানানো হবে—এর আগে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে।
কিউএনবি/আয়শা/৬ আগস্ট ২০২৫/রাত ৯:১২