আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। মূলত গাজায় ব্যবহার হতে পারে এমন সব সামরিক পণ্য রপ্তানি বন্ধে অটোয়া তার অবস্থান পুনরায় স্পষ্ট করেছে।
তিনি বলেন, ‘গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে— এমন সামরিক পণ্যের লাইসেন্স আমরা ২০২৪ সালের শুরুতেই স্থগিত করেছি এবং এখনও তা স্থগিতই রয়েছে। কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।’
সম্প্রতি গত ২৯ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কানাডা থেকে ইসরাইলে এখনো অস্ত্র যাচ্ছে। এই প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে আনন্দ বলেন, ‘প্রতিবেদনের বেশ কিছু দাবি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘প্রতিবেদনে যেগুলোকে গুলি বলা হয়েছে, সেগুলো আসলে পেইন্টবল ধাঁচের। এগুলোর সঙ্গে এমন যন্ত্রও ছিল, যা আগ্নেয়াস্ত্রকে সাধারণ গোলাবারুদ ব্যবহারে অকার্যকর করে তোলে। এগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী নয়। যদি কেউ এমন কিছু ব্যবহারের চেষ্টা করে, তা হলেও সেটির জন্য লাইসেন্স লাগবে— আর সেই লাইসেন্স কখনোই দেওয়া হতো না।’
তিনি আরও নিশ্চিত করেন, ‘লাইসেন্স স্থগিত হওয়ার আগ থেকেই কোনো কানাডীয় প্রতিষ্ঠান ইসরাইলের মর্টার সরবরাহ করেনি— সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনও ভাবেই নয়।’
আনন্দ জানান, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি বৈধ লাইসেন্স ছাড়া সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যার মধ্যে জরিমানা, জব্দ এবং ফৌজদারি অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা কখনোই কানাডায় তৈরি অস্ত্রকে এই সংঘাতে ব্যবহৃত হতে দেব না।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে চারটি এনজিও — ওয়ার্ল্ড বিয়ন্ড ওয়্যার, ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলন, কানাডিয়ানস ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস ইন দ্য মিডল ইস্ট এবং ইনডিপেনডেন্ট জিউিশ ভয়েসেস — ইসরাইলি ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের তথ্য উদ্ধৃত করে দাবি করে , ‘মিলিটারি ওয়েপন পার্টস ও অ্যামুনিশন’ নামের কানাডীয় সামগ্রী এখনো ইসরাইলে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলনের ইয়ারা শুফানি বলেন, এই তথ্য থেকে স্পষ্ট, কানাডা সরকারের অস্বীকার সত্ত্বেও দেশটি ইসরাইলকে এখনো বাস্তবিক সহায়তা দিচ্ছে। সংগঠনগুলো কানাডা থেকে ইসরাইলে সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর প্রমাণ হিসেবে বাণিজ্যিক শিপমেন্টের কাগজপত্রও উপস্থাপন করেছে।
কিউএনবি/আয়শা/৩ আগস্ট ২০২৫/রাত ৮:০২