আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ এবং বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
কামচাটকা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত প্রতিক্রিয়া দলের প্রধান ওলগা গিরিনাকে উদ্ধৃত করে আরআইএ জানিয়েছে, ‘৬০০ বছরের মধ্যে এটিই ক্র্যাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরির প্রথম ঐতিহাসিকভাবে নিশ্চিত হওয়া অগ্ন্যুৎপাত।’
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক শক্তিশালী ভূমিকম্পের সাথে এই অগ্ন্যুৎপাতের সম্পর্ক থাকতে পারে, যার কারণে ফরাসি পলিনেশিয়া এবং চিলি পর্যন্ত সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছিল এবং এরপর কামচাটকা উপদ্বীপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ক্লুচেভস্কয়ের অগ্ন্যুৎপাত ঘটে।
ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি ও সিসমোলজির টেলিগ্রাম চ্যানেলে গিরিনা বলেছেন, ক্র্যাশেনিনিকভের শেষ লাভা নিঃসরণ ঘটেছিল ১৪৬৩ সালে – ৪০ বছর কম/বেশি হতে পারে – এবং তারপর থেকে কোনো অগ্ন্যুৎপাতের খবর পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয়ের কামচাটকা শাখা জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর ৬,০০০ মিটার (৩.৭ মাইল) পর্যন্ত ছাইয়ের কুণ্ডলী উঠে গেছে। আগ্নেয়গিরিটি নিজেই ১,৮৫৬ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
রুশ মন্ত্রণালয় তাদের টেলিগ্রামে জানিয়েছে, ‘ছাইয়ের কুণ্ডলী পূর্ব দিকে, প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে ভেসে গেছে। এর পথে কোনো জনবসতিপূর্ণ এলাকা নেই।’
কিউএনবি/আয়শা/৩ আগস্ট ২০২৫/বিকাল ৫:৩৩