বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৯ অপরাহ্ন

‘মিডিয়ার বাকস্বাধীনতা কি সত্যি আছে?’—প্রশ্ন আনিস আলমগীরের..

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
  • ৫ Time View
সংগ্রীহিত ছবি..
মিডিয়া নিউজঃ  সাংবাদিক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের মিডিয়া, সাংবাদিকরা এখন সর্বাধিক উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। মব-সংস্কৃতির মধ্যে বাকস্বাধীনতা নেই বলেই মনে করছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এসব কথা বলেন আনিস আলমগীর। তার ভাষ্য মতে, মিডিয়ায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হাতছানি দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে আনিস আলমগীর লেখেন, “পারিবারিক কারণে মাত্র কয়েক দিনের জন্য লন্ডনে ছিলাম। সেখানে পৌঁছানোর পর বন্ধুদের কাছ থেকে ইনবক্সে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি পেয়েছি, তা হলো—ড. ইউনূসের সরকার তোমাকে দেশের বাইরে যেতে দিয়েছে? তুমি কি আর দেশে ফিরবে না? তোমার মতো একজন সাংবাদিককেও কি দেশ ছাড়তে হলো! বিদেশে দেখা হওয়া অনেকেই জিজ্ঞেস করেছেন, ‘দেশে ফিরতে দেবে তো?”
তাকে ঘিরে কাছের মানুষজনের উদ্বেগ বাড়ছে উল্লেখ করে এ সাংবাদিক লেখেন, “আজ সকালে আমার গ্রামের বাড়ি থেকে একজন প্রথমবারের মতো আমাকে ফোন করলেন। বললেন, ‘বাবা, সাবধানে চলাফেরা করো। দেশের অবস্থা ভালো না। গ্রামে মানুষ খোলাখুলি কথা বলতেও ভয় পাচ্ছে। আর তুমি টক শোতে খোলাখুলি সরকারবিরোধী কথা বলো!’ কতটা উদ্বেগে থাকলে কেউ জীবনে প্রথমবার এমন ফোন করে—এটাই ভাবছি শুধু তখন থেকে।
‘প্রতিভার বদলে নিজেকে বিক্রি করতে আসিনি’, অনৈতিক প্রস্তাব পেয়ে বলেন অভিনেত্রী । আনিস আলমগীর আরো লেখেন, “গত রাতে আরটিভির টক শোতে আমি বলেছিলাম, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের কিছু কাজ অন্তত দৃশ্যমান ছিল (এনআইডি, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ (আরপিও) সংশোধন অন্যতম)। কিন্তু ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকারে আমরা কী দেখছি? মব-সংস্কৃতি আর একটার পর একটা ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা অর্জন ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ছে না।
জুলাই সনদের কথা বলা হলেও সেটাও এখনো দৃশ্যমান নয়। সরকারপন্থী একজন আলোচক (ড. ইউনূসের প্রেস টিমের সদস্য) বললেন— ‘আপনি তো বাকস্বাধীনতা ফেরত পেয়েছেন, সরকারকে তুমুল সমালোচনা করছেন। এমন সমালোচনা আগে করলে স্টুডিও থেকে বের হলে আপনাকে গ্রেপ্তার করত।’ আমি এর কোনো জবাব দিইনি। কারণ বললে হয়তো তার বিশ্বাস হবে না।
এ সরকারের আমলে বাকস্বাধীনতা কি সত্যিই আছে কি না, এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আনিস আলমগীর লেখেন, “আমার ব্যক্তিগত জীবনে বাকস্বাধীনতা শেখ হাসিনার আমলেও ছিল, খালেদা জিয়ার আমলেও ছিল। এই সরকারে নতুন করে কিছু ‘ফেরত’ পেয়েছি বলে কখনোই মনে হয় না।

আর আমি এমন কথা বলিও না যেটার কোনো গ্রামার নেই, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার, যার কারণ দেখিয়ে গ্রেপ্তার করবে। আমি ভাবছি সত্যিই যদি বাকস্বাধীনতা থাকে, তাহলে—বিদেশ গেলে সবাই কেন জিজ্ঞেস করে : দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছি কি না? গ্রামের এক সাধারণ মানুষ কেন চিন্তিত হয়ে আমাকে ফোন করে কথা বলতে সাবধান করে! একজন সাংবাদিক কেন ইমিগ্রেশনের সামনে দাঁড়িয়ে ভাবেন : ‘যেতে দেওয়া হবে তো?’ কিংবা ‘ফিরতে দেওয়া হবে তো?’ মিডিয়াকে বললাম স্বাধীন তোমরা, পেছনে লাগিয়ে দিলাম মব। মব-সংস্কৃতির মধ্যে আসলেই কি বাকস্বাধীনতা থাকে? বাংলাদেশের মিডিয়া, সাংবাদিকদের এত অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, উদ্বেগের কাল আগে আর কখনো কি ছিল? নাকি ছিল আমি উপলব্ধি করিনি শুধু!

অনলাইন ডেক্সঃ

কুইকএনভি/রাজ/৩১জুলাই২০২৫/বিকালঃ ৪.৪০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit