তিনি বলেন, ‘আমি সংসদকে বলতে চাই, বৈসারণে যারা হামলা করেছিল তারা তিনজন সন্ত্রাসী ছিল এবং তাদের তিনজনকেই হত্যা করা হয়েছে।’ বৈসারণ কাশ্মীরের পহেলগামের একটি এলাকা যেখানে চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ২৬ হিন্দু পর্যটক নিহত হন।
ওই হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে বলে দেশটি হামলাকারীদের মদদ দিয়েছে। তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়। এ ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনা সংঘাতে রূপ নেয়।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তান শাসিত আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে বিমান হামলা চালায় ভারত। পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তানও। চারদিন পর যুদ্ধবিরতির মধ্যদিয়ে সংঘাতের অবসান ঘটে। তার আগে উভয় পক্ষের ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
অমিত শাহ বলেছেন, সেনা অভিযানে নিহত তিনজনই পাকিস্তানের নাগরিক এবং তাদের দুইজন পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য। তার কথায়, ‘ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছে হামলায় তাদের জড়িত থাকার বিস্তারিত প্রমাণ রয়েছে।’
ভারতের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবারের অভিযানটি শ্রীনগর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (১৮ মাইল) দূরে দাচিগামের পাহাড়ে পরিচালিত হয়েছে। অমিত শাহ দাবি করেছেন, নিহতদের ঘাঁটি থেকে পহেলগামে ব্যবহৃত অস্ত্র পাওয়া গেছে। নিহতদের পরিচয়পত্রও পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা গেছে, ওই তিনজনই পহেলগামের হামলাকারী।
নিহত তিনজনের নামও জানিয়েছেন অমিত শাহ। তারা হলেন- সুলেমান, জিবরান ও আফগান। অমিত শাহ দাবি করেন, পারভেজ নামে যে ব্যক্তি ওই তিনজনকে খাদ্য দিয়েছিলেন, তাকে আগেই আটক করা হয়েছিল। তিনি ও অন্যরা ওই তিনজনকে শনাক্ত করেছেন। তাদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজের নির্দিষ্ট পরীক্ষা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারা পাকিস্তান থেকেই এসেছিলেন।
অমিত শাহ আরও বলেন, জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার সময় যে চকলেট তারা খেতেন, তার মোড়ক দেখেও বোঝা গেছে, সেসব পাকিস্তানে তৈরি। জঙ্গিদের ডেরা থেকে পাওয়া ভোটার কার্ডও তাদের নাগরিকত্বের পরিচয় দিচ্ছে। অমিত শাহর দাবি, নিহত সুলেমান ওরফে হাসিম মুসাই পহেলগামকাণ্ডের ‘মূল পরিকল্পনাকারী’।