বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বাহিনী গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা অব্যাহত রাখলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে বড় অগ্রগতি হচ্ছে। কাতার জানিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় বসতে পারে ইসরাইল ও হামাস।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৫ জুন) গাজাজুড়ে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। যাদের মধ্যে ৩৩ জনই ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে অপেক্ষা করার সময় প্রাণ হারান।
স্থানীয় হাসপাতালগুলো বলছে, ত্রাণ নিতে যাওয়া মানুষদের লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত এমন হামলায় সাড়ে পাঁচশ’র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ বলছে, এসব সহায়তা কেন্দ্র এখন মৃত্যুকেন্দ্রে রূপ নিয়েছে।
এদিন গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাসিন্দাদের আশ্রয় নেয়া ভবন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোনো আগাম সতর্কতা ছাড়াই ভবনটি গুঁড়িয়ে দেয় ইসরাইলি সেনারা। হামলায় ধসে যায় ভবনের ছাদ। নিচে চাপা পড়েন অনেকে। উদ্ধারকারীরা বলছেন, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় তারা হাতে খুঁড়েই মরদেহ উদ্ধারে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেই কূটনৈতিক আলোচনায় গতি এসেছে। বুধবার কাতার জানায়, কয়েকদিনের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় বসতে পারে ইসরাইল ও হামাস। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন জানিয়েছে, এ বিষয়ে কাতার ও মিসরের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যদিও কোনো নতুন প্রস্তাব এখনও আসেনি।
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্টও। বুধবার নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে গাজা যুদ্ধ বন্ধে বড় অগ্রগতি হচ্ছে জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ তাকে জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির পথ প্রায় তৈরি।
গাজার যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপও বাড়ছে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় নেতারা ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিও দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে ইসরাইল বলছে, তারা এখনও গাজায় আটক ৪৯ জিম্মিকে উদ্ধারে সামরিক ও কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কিউএনবি/আয়শা//২৬ জুন ২০২৫, /দুপুর ২:৪৫