ডেস্ক নিউজ : মুফতি জাকারিয়া হারুন
তোমরা যতক্ষণ ঈমান আনবে না, ততক্ষণ বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যতক্ষণ তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি হবে না, ততক্ষণ তোমরা মুমিনও হতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে একটি কাজের কথা বলে দেবো, যা করলে তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তোমাদের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন ঘটাও। (মুসলিম, হাদিস: ৫৪)
জান্নাতেও সালামের প্রচলন থাকবে। এক জান্নাতি অপর জান্নাতিকে সালাম দেবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
সেখানে তাদের অভিবাদন হবে সালাম। (সুরা ইউনুস, আয়াত: ১০)
আমাদের সমাজে দেখা যায়, কেউ কারো সঙ্গে সাক্ষাত শেষে ফেরার সময় ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলে থাকেন। এ বিষয়ে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, কোথাও কারো সঙ্গে দেখা করতে গেলে অথবা সাক্ষাত শেষে বিদায় নেয়ার সময় সালাম দেয়াই সুন্নত। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী সালাম বলেই বিদায় নেয়া সুন্নত। সালামের বিকল্প হিসেবে ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলা সুন্নত নয়। কারণ এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
যখন তোমাদের কেউ কোনো মজলিসে পৌঁছাবে তখন সালাম দেবে। যদি অনুমতি পাওয়া যায় তবে বসে পড়বে। এরপর যখন মজলিস ত্যাগ করবে, তখনো সালাম দেবে। কারণ, প্রথম সালাম দ্বিতীয় সালাম অপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ নয় (বরং উভয় সালামের গুরুত্ব সমান)। ( তিরমিজি, হাদিস: ২/১০০)
তবে সালামের আগে বা পরে ‘আল্লাহ হাফেজ’ (আল্লাহ তোমাকে নিরাপদ রাখুন) বাক্যটি দোয়া হিসেবে বলা জায়েজ আছে। তাতে কোনো সমস্যা নেই। (শুআবুল ঈমান : ৬/৪৪৮; সুনানে আবু দাউদ : ১৩/৭০৭; ইমদাদুল ফাতাওয়া : ৪/৪৯১)
কিউএনবি/আয়শা/২০ জুন ২০২৫, /বিকাল ৩:৫৫