আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার সমর্থকরা আমাকে এখন আরও বেশি ভালোবাসেন আর আমিও তাদের অনেক ভালোবাসি, এমনকি নির্বাচনে যখন ভূমিধস বিজয় হয়েছিল, তার চেয়েও বেশি। ’
যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক জোটে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই, বিশেষ করে তার ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন (মাগা)’ ঘাঁটির সমর্থকরা, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধে জড়ানোর বিরোধিতা করছেন।সমর্থকদের মধ্যে এ বিভাজন নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে একটি নতুন পতাকাস্তম্ভ স্থাপনের সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার সমর্থকরা আমাকে এখন আরও বেশি ভালোবাসেন আর আমিও তাদের অনেক ভালোবাসি, এমনকি নির্বাচনে যখন ভূমিধস বিজয় হয়েছিল, তার চেয়েও বেশি। ’
ট্রাম্প বলেন, ‘ আমার কিছু লোক হয়তো এখন কিছুটা অসন্তুষ্ট, আবার কিছু লোক খুব খুশি। আবার আমার ঘাঁটির বাইরেও এমন কিছু লোক আছে যারা বিশ্বাস করতে পারছে না যে এটি ঘটছে, তারাও খুব খুশি। ’
ট্রাম্প যখন শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক সমাধানের পথে ছিলেন, সেখান থেকে সরে এসে ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়ে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার দিকেই ঝুঁকছেন—এ নিয়ে রিপাবলিকান পার্টির ‘অ্যান্টি-ইন্টারভেনশনিস্ট’ অংশে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংসে মার্কিন ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ব্যবহারের সম্ভাবনা এবং মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাতের হুমকি—এগুলো ট্রাম্পের ঘাঁটির একাংশের মধ্যে বিরক্তি তৈরি করছে।
ট্রাম্প যদিও বলেছেন, ‘আমি লড়াই চাই না, কিন্তু যদি ইরান পরমাণু অস্ত্র পায়—তা ঠেকানো জরুরি,’ তবুও তার এই অবস্থান নিয়ে তার ঘাঁটির অনেকেই সন্তুষ্ট নন।
প্রভাবশালী মাগা কণ্ঠস্বর টাকার কার্লসন, মার্জোরি টেইলর গ্রিনও এ নিয়ে বিরোধিতা করছেন। গ্রিন বলেন, ‘যারা ইসরাইল-ইরান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়াতে চায়, তারা মাগা নয়। আমরা বিদেশি যুদ্ধে ক্লান্ত।’
কার্লসন ও সিনেটর টেড ক্রুজের মধ্যে এ নিয়ে বিতর্কিত এক সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে, যেখানে কার্লসন বলেন, ‘আপনি ইরান সম্পর্কে কিছুই জানেন না!’ ক্রুজ পাল্টা বলেন, ‘আমি টাকার কার্লসন নই, তবে আমি জানি কীভাবে দায়িত্ব নিতে হয়।’